‘পরোডা যে বড় হেইডা দ্যাকলেন না’

রুটি বা পরোটা; দামে এর আলাদা কদর খোদ রাজধানী ঢাকা না দিলেও দিয়েছে পদ্মাপাড়ের দুই জনপদ মুন্সীগঞ্জের লৌহজং আর শরীয়তপুরের জাজিরা।

বলতে পারেন, এখানেই এই দু’টি খাদ্যপণ্য দামে ধন্য! কীভাবে? সেই প্রশ্নের উত্তর প্রতি মুহূর্তেই শুনতে হয় এই দুই জনপদে দাম গুনতে গিয়ে!

নিঃসন্দেহে ঢাকার চাইতে সাইজে কিছুটা বড়। তবে অবশ্যই দ্বিগুন নয়। তবে দামে দ্বিগুন। মানে একটি পরোটা বা রুটির জন্যে পদ্মার দু’পাড়ের যে কোনো খাবার হোটেলেই গুনতে হবে প্রতিটির জন্যে দশ টাকা।

‘ঠিকই বলেছেন, প্রথমে কেউ পরোডা, ভাজির দাম জিগায় না। খাওনের পর কয়, পরোডার এত্তো দাম! এইডাই এহানকার নিয়ম’ বেশ গর্বিতভাবেই বলছিলেন পদ্মার জাজিরার অংশের নিরালা হোটেলের ক্যাশ কাউন্টারে থাকা আব্দুস সালাম।

কথাটা যে ঠিক। প্রথমবারের মতো নাস্তা করতে আসা অনেকের মুখেই দাম নিয়ে আক্ষেপ শোনা গেল।

‘পরোডা যে বড় হেইডা দ্যাকলেন না’- উত্তরটাও যেন মুখেই লেপ্টে থাকে হোটেল বয়দের।

দেখলে মনে হয় ঢাকার চাইতে একটু বড়ই। তবে বড় জোর দেড়গুন। দাম কিন্তু দ্বিগুন। কারণ কী?

‘আমাগো পোষাইতে হইবে না। বাজারের দাম যে বাড়তি তার মইদ্যে হোডেল চালানোই মুসকিল’- যোগ করেন আব্দুস সালাম।

তবে ঘাটে আসা মানুষরা যে নিরুপায় হয়েই সেখানে খান তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে দাম নিয়ে যে অস্বস্তি মনের মধ্যেই বয়ে চলে বহমান পদ্মার মতো!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.