সুলতানা আখতার: মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান সহকারী কমিশনার (ভূমি)বেগম শাহিনা পারভীনের হস্তক্ষেপে আবিদা আক্তার (১৬) এর বাল্য বিয়ে বন্ধ করে পড়ালেখার সকল দায় দায়িত্ব নিলেন। শুক্রবার দুপুরে এসিল্যান্ড এ বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন।
এ সময় কনের বাবা দেলোয়ার হোসেন জানান অভাবের তাড়নায় মেয়েকে বিয়ে দিচ্ছি। ঠিকমত খেতে দিতে পারিনা ,লেখাপড়া করাতে পারি না কিভাবে এত খরচ জোগাব?
এ প্রসঙ্গে এসিল্যান্ড শাহিনা পারভীন জানান, যেহেতু লেখাপড়ার খরচ জোগাতে পারেন না তাই এ মেয়ের লেখাপড়ার সকল দায় দায়িত্ব আমি নিলাম তবুও এখন বিয়ে দিতে পারবেন না।
এ প্রসঙ্গে রশুনিয়া চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন চোকদার জানান, যেহেতু খাবার খরচ জোগাতে পারেন না তাই এ মেয়ের খাবারের জন্য আমি একটি ভিজিডি কার্ড দিব যেন ওর খাওয়ার কোন সমস্যা না হয়। এছাড়াও গৃহ নির্মানের কোন টিন আসছে সবার আগে আপনি পাবেন বলে আশ্বস্ত করেন মেয়ের বাবা দেলোয়ার হোসেনকে।
এছাড়াও তিনি জানান, আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েই আমি প্রতিজ্ঞা করেছি আমার ইউনিয়নে কোন বাল্য বিবাহ হতে দিব না, যে কোন মূল্যে প্রতিহত করব। আমি জন্ম সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ সচেতনতা অবলম্বন করি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রশুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন চোকদার, সাংবাদিক, ছাত্র আইন পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবু সায়েম, থানা প্রশাসন ও এলকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
আবিদা আক্তার উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আবিরপাড়া গ্রামের দেলোয়ারের মেয়ে। সে রাজদিয়া অভয় পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ।তার পিতা দেলোয়ার হোসেন স্থানীয় শবনম কোল্ড ষ্টোরেজের একজন কর্মচারী।
ক্রাইম ভিশন
Leave a Reply