জেলার গজারিয়ায় ২৫ লাখ টাকায় ধানের শীষ প্রতীক বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে বিকেলে গজারিয়ার বাউশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ধানেরশীষ প্রতীকের প্রার্থী আহাদ মাস্টার তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
এ প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে নৌকার প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন বলে রিটার্নি অফিসার ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আরিফ জামিল ফারুকী জানিয়েছেন।
এ ইউনিয়নের বর্তমান দুই মেয়াদের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন গজারিয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি আবদুল মান্নান দেওয়ান মনা। এ ঘটনায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
গজারিয়া উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক তপন চৌধুরী জানান, উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নটি বিএনপির দুর্গ ছিল। এখানে বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান দেওয়ান মনাকে ধানেরশীষ প্রতীক দেওয়ার জন্য জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হাইয়ের কাছে প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু বিরোধিতার জন্য মনা চেয়ারম্যানকে ধানের শীষ প্রতীক দেননি ওই বিএনপি নেতা।
এরপর গত ২৫ শে এপ্রিল গজারিয়া উপজেলা বিএনপির একটি অংশ বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব শাজাহান মিয়া ও শিমুল বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করে। তখন মনা চেয়ারম্যানকে ধানের শীষ প্রতীক দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু এ ইউনিয়নে জয়ের আশ্বাস দিয়ে আহাদ মাস্টারের জন্য ধানেরশীষ প্রতীক আনা হয়। এরপর দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে মনা চেয়ারম্যান প্রার্থী হননি।
বুধবার ঢাকার ধানমন্ডিতে বিএনপির নেতার বাসায় বসে আওয়ামী লীগের প্রাথী মিজানুর রহমান মিজান প্রধানের সঙ্গে বিএনপি প্রার্থী আহাদ মাস্টারের ২৫ লাখ টাকায় সমঝোতা হয়।
এরপর বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে আহাদ মাস্টার তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
উপজেলা যুবদলের সভাপতি ও বাউশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান দেওয়ান মনা বলেন, গত উপজেলা পরিষদের নির্বাচনেও আমাকে মনোনীত করা হয়নি। মনোনীত করা হয় জেলা বিএনপির সভাপতির এক কর্মচারীকে। নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আমার স্ত্রী লাকি আক্তার গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। দখল, হামলা, গুলির ঘটনার পরও নির্বাচন ছাড়িনি। ১৪ হাজার ভোট পেয়ে আমি দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলাম। জেলা বিএনপির সভাপতির প্রার্থী মজিবুর রহমান ছিলেন চতুর্থ স্থানে। আমি দুই মেয়াদে বাউশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছি। বিরোধিতার কারণে আমি বর্তমান চেয়ারম্যান হওয়া সত্ত্বেও আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। আমাকে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ায় তারা ধানের শীষকে ২৫ লাখ টাকায় বিক্রি করলেন, প্রত্যাহার করে নিলেন মনোনয়নপত্র।
আমাকে মনোনয়ন দেয়া হলে শতভাগ জয়ের আশা ছিলো। আমার প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। দল করতে এসে স্ত্রীসহ সবকিছুই হারালাম। ক্ষণে-ক্ষণে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এবার দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে নালিশ জানাবো। ব্যবস্থা না নেয়া হলে দল ছেড়ে দিবেন বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আহাদ মাস্টারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
পূর্বপশ্চিম
Leave a Reply