মোজাম্মেল হোসেন সজল: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীও দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হানিফ (২৮) নামে এক ছাত্রলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
এর আগে রাত ৯টার দিকে উপজেলার হোসেন্দি ইউনিয়নের লস্করদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হানিফ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক ও নৌকার প্রার্থীও সমর্থক বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। নিহত হানিফ লস্করদী গ্রামের নজু মিস্ত্রির ছেলে।
এলাকাবাসী জানান, আগামী ২৮ মে পঞ্চম ধাপের নির্বাচনকে সামনে রেখে হোসেন্দি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকার প্রার্থী মনিরুল হক মিঠু ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী মাহাবুবুল হক মজনু গ্রুপের মধ্যে নির্বাচন ঘিরে একাধিকবার সংঘর্ষেও ঘটনা ঘটে।
সোমবার বিকেল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত লস্করদী গ্রামে মজনুর পক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান রেফায়েতউল্লাহ খান তোতা মজনুকে নিয়ে গণসংযোগ চালায়। এ সময় মজনু সমর্থকরা ভবানীপুর গ্রামে নৌকা মার্কার তিনটি নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করে। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। রাত ৯টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান তোতা ও মজনুর নেতৃত্বে লস্করদী গ্রামে এবং নৌকার সমর্থকরা মিছিল বের করেন। এ সময় মজনু সমর্থকদের হামলায় ছাত্রলীগ নেতা মো. হানিফ গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর রাত সাড়ে ১১টায় মৃত্যু ঘটে।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেদায়েত-উল-ইসলাম ভূঞা জানান, নিহত হানিফ কোন পক্ষের ছিলেন না। রং মিস্ত্রিও কাজ করেন। বাসায় ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে তিনি দাবি করেন।
পূর্ব পশ্চিম
Leave a Reply