আনন্দ বিশ্বাস। লেবু বিক্রি করে পড়াশুনা করছেন। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় সে জিপিএ-৫ পেয়েছে। মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তাজপুর গ্রামের বেনু বিশ্বাস ও শেফালী রানী বিশ্বাসের দ্বিতীয় সন্তান। স্থানীয় রাজদিয়া অভয় পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে অংশ নেন। সংসারের দৈন্যদশায় মা বাবার সাথে জীবন যুদ্ধে নেমেছিলেন সেই ছোট বেলা থেকেই। ভিটেমাটি ছাড়া বাবার কিছুই নেই। অন্যের দোকানের সামনে লেবু বিক্রি করে সংসার চলে। বাবার সাথে আনন্দও এই লেবু বিক্রি করে। রাত দিন পরিশ্রম করেও দুঃখ তাদের কষ্ট নেই।
এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়ার পর পরিবারটিতে নতুন উদ্যম। আনন্দ বড় কিছু করবে এই আশায় এখন বুক বেধেছে। এত প্রতিকূলতার পরও যেহেতু এই ভালো ফল লাভ করেছে। তাই ভবিষ্যতে আর ভাল করার স্বপ্ন আনন্দের।
আনন্দের বাবা এবং মাসহ পরিবারের সকলের মুখেই আনন্দ। শুক্রবার জিপিএ-৫ পাওয়া মেধাবী ছাত্র আনন্দ বিশ্বাসের বাড়ীতে গেলে তার মা বাবা জানান, ছেলে জিপিএ-৫ পাওয়ায় আমাদের সব শ্রম কষ্ট স্বার্থক হয়েছে। তিন ছেলে এক মেয়ে সবাই লেখাপড়া করে। দিন মজুরী করেও ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করাবো জীবনের সব টুকু বিলিয়ে দিয়ে হলেও। এসএসসি পাশ করেছে এখন ভালো কলেজে ভর্তি করার আশা। আর্থিক অবস্থার কারণে তা বোধহয় পারবোনা। বড় ছেলে প্রেমানন্দ বিশ্বাস ডিপ্লোমা, এক মেয়ে রিতা বিশ্বাস ৭ম শ্রেণীতে ও ছোট ছেলে গোপাল বিশ্বাস ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। তার পরেও ছেলে-মেয়েদের লেখা পড়া করানোর অদম্য আশা ব্যক্ত করেছেন আনন্দের মা ও বাবা।
আনন্দ বিশ্বাস জানায়, কলেজে ভর্তি হতে হবে। কিছু টাকার জন্য বাবার পাশে আর একটি ফুটপাতে দোকান নিয়ে লেবু বিক্রি করছি। তার স্বপ্ন ভালো কলেজে ভর্তি হওয়া। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে মানব কল্যাণের জন্য।
জনকন্ঠ
Leave a Reply