মোঃ জাফর মিয়া: স্ত্রী মৌসুমি আক্তার মৌর পরকিয়ায় মুন্সিগঞ্জে স্বামী রবিন (৩০) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে শহরের উপকণ্ঠ পঞ্চসারের মালিপাথর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, গত দুইবছর পূর্বে প্রেম ভালোবাসার সর্ম্পকে জড়িয়ে সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের মালিরপাথর গ্রামের মোঃ জাকির হোসেনের মেয়ে মৌসুমী আক্তার মৌ এর সাথে একই গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে রবিনের বিয়ে হয়।
বিয়ের পরে শশুরবাড়ীতে ঘরজামাই হিসাবে বসত করতে রবিন। পরে বিয়ের প্রথম একবছর দু’জনের মধ্যে সর্ম্পক ঠিকঠাকই চলছিলো। কিন্তু পরের বছরে এসে পরকিয়ায় জড়িয়ে যান মৌসুমী আক্তার মৌ। পরকিয়ার বিষয়টি স্বামী রবিন যেনে ফেললে শুরু হয় অশান্তি।
পরকিয়াকে কেন্দ্র করে মৌসুমী স্বামী রবিনের সাথে মাঝে মাঝে ঝগড়া করতেন। আর ঝগড়া থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে রবিন বাড়ী থেকে বের হয়ে যেতেন আর এই সুযোকে কাজে লাগিয়ে পরকিয়া প্রেমিকের সাথে ফোন আলাপ করে বাড়ীতে নিয়ে আসতে ও মাঝে ঘুরতে যাওয়ার সুযো পেয়ে যেতেন মৌসুমী। তাই স্বামীর সাথে ঝগড়া করা টা তার নিয়মিত হয়ে উঠে।
শুধু তাইই নয় পরকিয়া চালিয়ে যেতে নারী নির্যাতন আইনে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে রবিনের বড় ভাই শাহিনকে।
তাই ভাইকে বাঁচাতে বাধ্য হয়েই স্ত্রীর কাছে মাথা নত করে ভাই ছাড়ানোর চেষ্টা করেন রবিন। তাই গত রবিবারে (৩ জুলাই) রবিন তার ভাইকে মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচাতে শশুর মোঃ জাকির হোসেন, শাশুরী মিতু বেগম (বালা) ও স্ত্রী মৌসুমী আক্তার মৌর কাছে। সেখানে কথা কাটাকাটি হলে শশুর, শাশুরী ও স্ত্রী মিলে বসত ঘরে ভিতরে আটকে রেখে রবিনের উপর চালানো হয় অমানসিক নির্যাতন।
পরে গতকাল মঙ্গলবার (৫ জুলাই) রাত সাড়ে ১০ টায় রবিনের শাশুরীর মালিকানাধীন কারেন্ট জাল কারখানা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায উদ্ধার করা হয় রবিনের মৃতদেহ। তবে এটি আত্মহত্যা নয় হত্যা হয়েছে বলে দাবী করছেন রবিনের পরিবারে লোকজন।
মৃত রবিনের সাত মাসের লাবিবা নামের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
মামলা না করার হুমকি দিচ্ছে হত্যাকারীরা; এমন দাবী করে রবিনের বড় ভাইয়ের স্ত্রীর কলি বেগম বলেন, বিয়ে পর থেকে শত চেষ্টা করে মৌসুমীকে স্বামীর বাড়ীকে আনা সম্ভব হয়নি। মৌসুমী তার নিজ বাড়ীতে থেকে পরকিয়ার সম্পর্ক চালিয়ে যেতেন। তাই শত চেষ্টা করে স্বামীর বাড়ীতে আনতে ব্যর্থ হই আমরা। তার পরকিয়া সর্ম্পক রবিনে জেনে ফেললে শুরু হয় অশান্তি।
এ বিষয়ে রবিনের শশুর, শাশুরী ও স্ত্রীর সাথে কথা বলতে গেলে আমার স্বামী শাহিনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়া হয়। সেই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে রবিনকে বসত ঘরের ভিতরে আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে।
তবে মারধরে বিষয়টি অস্বীকার করে রবিনের শাশুরী মিতু বেগম (বালা) বলেন, রবিন ও আমার মেয়ে মৌসুমী প্রেম ভালোবাসা সর্ম্পক করে বিবাহ করেন। বিয়ের এক বছর সর্ম্পক ভালোই চলছিলো কিন্তু হঠাৎ করে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমার মেয়েকে প্রায় সময় চালানো হতো নির্যাতন। তবে কি কারনে রবিন আত্মহত্যা করেছেন সেটি আমার জানানেই।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুছ আলী বলেন, লাশ ময়নাতদন্ত চলছে তদন্ত শেষে এটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটি যানা যাবে। এই বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে।
মুন্সিগঞ্জ নিউজ
Leave a Reply