গুলশানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় সেবা খাতের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের ঈদ ছুটি বাতিল করেছে সরকার। পাশাপাশি যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদেরকে মাঠে থাকতে বলা হয়েছে। সরকারি এই নির্দেশের তোয়াক্কা না করে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে ঈদের আগেই কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন শ্রীনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) দিলরুবা শারমিন।
সূত্র মতে, টানা ৯ দিন ছুটি শেষে আজ রোববারের কার্যদিবসে কর্মস্থলে তিনি ছিলেন অনুপস্থিত।তার এই অনুপস্থিতির কারণে দূর দূরান্ত থেকে আগত লোকজনের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।
উত্তর সেলামতির এক যুবক জানান, নামজারি সংক্রান্ত কাজে দীর্ঘদিন যাবত ঘুরতাছি।যে দিনই আসি ম্যাডামের দেখা পাই না।
কামারখোলা গ্রামের এক মহিলা নামজারির কাজে এসেছেন।তিনিও ঘুরাঘুরি আর হয়রানির শিকার বলে জানান।
বানিয়া বাড়ি গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, মিস কেস করে দুই বছর যাবত দৌড়াদৌড়ি করতাছি।যোহরের আজান দিয়া দিল, এহনও এসিল্যান্ড আইলনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ব্যক্তি বলেন, উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা কর্মস্থলে না থেকে ঢাকায় থাকার কারণে তিনি নিয়মিত অফিস করতে পারেন না।আর এজন্য সুযোগ বুঝে ভূমি দস্যুরা তার অনুপস্থিতির দিনগুলোতেই সরকারি জায়গা দখলে নেমে পড়ে।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা শারমিন বলেন, সরকারি নিদের্শনা অনুযাযী কোনো ছুটি কাটাইনি। আমি কর্মস্থলেই আছি। করাপশন করি না বলেই একটি গোষ্ঠী এসব রটায়। তাদেরতো কোনো কাজ নেই।
শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যতন মার্মা বলেন, ঈদের আগের দিন পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা শারমিনের দায়িত্ব ছিলো ঢাকা মাওয়া মহাসড়কের রাস্তায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখা।
ওদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা শারমিন কোন ঘুষ-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত নয় বলে সেখানকার একাধিক সূত্র জানিয়েছেন। তাকে শ্রীনগরের কর্মস্থল থেকে সরানোর জন্য একটি ভূমিদস্যু ও সুবিধাবঞ্চিত চক্র নানা ষড়যন্ত্র করছেন বলে শ্রীনগরের কর্মরত একাধিক সংবাদ কর্মী জানিয়েছেন।
পূর্ব পশ্চিম
Leave a Reply