মুন্সীগঞ্জ-৩ আসন: দুই দলেই একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী

লাবলু মোল্লা: মুন্সীগঞ্জ-৩ (মুন্সীগঞ্জ সদর-গজারিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সম্ভাব্য একাধিক প্রার্থী গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে দুদলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে স্থানীয়রা মনে করেন। তবে প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতার উপর উভয় দলের জয় পরাজয় নির্ভর করছে।

মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছেন। তাদের মধ্যে বর্তমান এমপি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, সাবেক এমপি এম ইদ্রিস আলী, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান আনিস, মীরকাদিম পৌরসভার মেয়র মো. শহিদুল ইসলাম শাহীন, গজারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেফায়েত উল্লাহ খান তোতা অন্যতম। এলাকায় দিনরাত উঠান বৈঠক করছেন তারা। বর্তমান এমপি মৃণাল কান্তি দাস দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যদি তিনি মনোনয়ন নাও পান সে ক্ষেত্রে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষেই তিনি থাকবেন। সাবেক সচিব ও এমপি এম ইদ্রিস আলী এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করে চলেছেন। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, তার আমলে এলাকায় কোনো সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি বা টেন্ডারবাজি ছিল না।

তার বিশ্বাস শেখ হাসিনা তাকেই দলীয় মনোনয়ন দেবেন। প্রচারণায় পিছিয়ে নেই মুক্তিযোদ্ধা আনিসুজ্জামান আনিসও। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একটা বড় অংশ তাকে সমর্থন করছেন বলে জানা গেছে। তার দাবি এবার তাকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে। গজারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেফায়েত উল্লাহ খান তোতা সড়ক-মহসড়কে নির্বাচনী প্রচার করে যাচ্ছেন। এ আসনে বিএনপির শক্ত প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন সাবেক উপমন্ত্রী ও জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই। তিনি পরপর পাঁচ বার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এ এলাকার বেশিরভাগ গ্রামীণ উন্নয়ন তার আমলেই হয়েছে বলে বিএনপি নেতা-কর্মীদের দাবি। আব্দুল হাই বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এই মূহূর্তে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করাই আমাদের প্রধান কাজ। এরপর যদি বিএনপি নির্বাচনে আসে তাহলে আমি মনোনয়ন পাব।

এ এলাকার মানুষ পাগল হয়ে আছে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন। তিনি এলাকায় প্রচারণা শুরু করেছেন। তারও দাবি বিএনপি নির্বাচনে এলে তিনি মনোনয়ন পাবেন। এ আসনে বিএনপির শক্ত প্রার্থী হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য এম সামসুল ইসলামের ছেলে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম। স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের দাবি সুষুম নির্বাচন হলে তিনিই বিজয়ী হবেন। তবে তিনি মুন্সীগঞ্জ-২ না মুন্সীগঞ্জ-৩ এ নির্বাচন করবেন তা এখনো নিশ্চিত নয়। এখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে জেলা সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল বাতেন ও আরিফুজ্জামান দিদারের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে দলীয় নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন প্রার্থী হিসেবে খানিকটা নিশ্চিত রয়েছেন আব্দুল বাতেন। এ আসনে চরমোনাই পীরের হয়ে কুলা মার্কায় এমপি পদে লড়তে পারেন দেলোয়ার হোসেন। বিকল্পধারার হয়ে নুর ইসলামও মাঠে রয়েছেন।

বিডি প্রতিদিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.