শ্রীনগরে ব্যক্তি উদ্যোগে স্থাপিত কামারগাঁও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

আমাদের বাংলাদেশের ইতিহাস অত্যন্ত দীর্ঘ ও গৌরবময়। ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস, ভাষা শহীদ ও সৈনিকদের জীবনী সংরক্ষণ এবং আমাদের আবেগের স্থান মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বাংলাদেশের বিখ্যাত মানুষের জীবনী এমন সব গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস সংরক্ষিত করে গড়ে তোলা হয়েছে কামারগাঁও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। এর আগে দেশের কোথাও ব্যক্তি উদ্যোগে এমন জাদুঘর স্থাপিত হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই।

 

 

সুপ্রাচীন মুন্সিগঞ্জের (বিক্রমপুর) শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের পাশ দিয়েই বয়ে চলেছে হাজার বছরের ইাতহাসের স্বাক্ষী প্রমত্ত পদ্মা নদী। নয়নাভিরাম এই নদীর কূল ঘেঁষে কামারগাঁও বাজার সংলগ্ন ঢাকা-শ্রীনগর-দোহার সড়কের পাশে এক চিলতে জায়গায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নূরুল ইসলাম খোকন গড়ে তুলেছেন কামারগাঁও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। এখানে একটি দ্বিতল ভবনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেন এই জাদুঘর। জাদুঘরটি সর্ব সাধারণের জন্য দিনব্যাপী উন্মুক্ত রাখা হয়ে থাকে। দূরদুরান্ত থেকে অনেক দর্শনার্থী আসেন জাদুঘরটি দেখতে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, জাদুঘর প্রাঙ্গণে নির্মাণ করা হয়েছে একটি শহীদ মিনার, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও জাদুঘরের চারপাশে রয়েছে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন জাতের ফুল-ফল গাছের বাগান। দ্বিতল ভবনের পুরোটার মধ্যেই সাজানো হয়েছে মহান ভাষা আন্দোলনের ইাতহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইাতহাস, বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী, ভাষা শহীদ ও সৈনিকদের জীবনী, রয়েছে আদি বিক্রমপুরের বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী, আরো রয়েছে অজানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস। প্রতিটি বিষয়ের ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা কক্ষ এবং পাঠাগার। আপনার পরিদর্শন হতে পারে এই জাদুঘরের জন্য একটি মাইলফলক।

কামারগাঁও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠাতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নূরুল ইসলাম খোকন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধ হও, আবারও দেশ গড়ার শপথ নাও শ্লোগানকে সামনে রেখে ২০১০ সালে স্থাপিত করেছি এই জাদুঘর। নতুন প্রজন্মের অনেকেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানেন না। আমি চেষ্টা করছি এই জাদুঘরে সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণ করতে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেশের কোথাও এমন চমৎকার জাদুঘর আছে বলে আমার জানা নেই। গুনীজন ও সকল স্তরের মানুষ এখানে পরিদর্শনে আসলে জাদুঘরটি তৈরীর মূল উদ্দেশ্য তখনই সফল হবে।

তিনি আরো বলেন, জাদুঘরটি এখনও নির্মাণাধীন তাই আপনার সুচিন্তিত মতামত ও পরামর্শও অমূল্য হয়ে রবে। এই উদ্যোগ ও উদ্দেশ্যকে সফল এবং সহযোগিতায় আপনার পরিবার পরিজন নিয়ে জাদুঘর পরিদর্শন করতে পারেন।

নিউজজি/উজ্জ্বল দত্ত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.