মুন্সীগঞ্জের তিন উপজেলায় আরও চারজন আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে; যাদের মধ্যে একজন গৃহিণী রয়েছেন। জেলার সিভিল সার্জন আবুল কালাম আজাদ জানান, মঙ্গলবার সকালে পওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী সদর উপজেলায় একজন, গজারিয়া উপজেলায় দুইজন আর সিরাজদিখান উপজেলায় একজনের শরীরে করোনাভাইরাস (কেভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে এ জেলায় মোট ১৮ জন আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেল।
সিভিল সার্জন বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে সিরাজদিখানের আবরিপাড়ার তরুণের বয়স ২৭ বছর। এর আগে তার মা আক্রান্ত হয়েছেন। গজারিয়া উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছেন বাউশিয়া গ্রামের এক গৃহিণী, যার বয়স ৫৫ বছর। গজারিয়ার অন্যজন হলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫৪ বছর বয়সী এক স্বাস্থ্যকর্মী।
এছাড়া মুন্সীগঞ্জ শহরের মানিকপুরের ৬০ বছরের এক সবজি বিক্রেতা আকান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
সিভিল সার্জন বলেন, “এই সবজি বিক্রেতা নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা কারও সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
সবজি বিক্রেতা ও গজারিয়ার দুইজনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে বলে তিনি জানান। সিরাজদিখানের তরুণের চিকিৎসার ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সিভিল সার্জন বলেন, আক্রান্তদের বাড়িঘর এবং সংস্পর্শে আসা সবার বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান অবরুদ্ধ করার কাজ চলছে।
এ জেলায় এ পর্যন্ত ১২৮ জনের পরীক্ষায় ১৮ জন আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এছাড়া আরও ১৯ জনের নমুনা মঙ্গলবার ঢাকার আইইডিসিআর প্রতিনিধিরা মুন্সীগঞ্জ থেকে নিয়ে গেছেন।
বিডিনিউজ
Leave a Reply