মুন্সীগঞ্জে ককটেল হামলা ঘটনা ঘটেছে। রোববার ভোর রাত সাড়ে ৪ টার দিকে সদর উপজেলার চরাঞ্চলের ভিটি হোগলাকান্দি গ্রামের আমতলা এলাকার হেফাজউদ্দিনের ভারাটিয়া গরীবউল্লাহর বসত ঘরে এই ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ছিদ্র হয়ে গেছে ঘরের ভেড়া। এতে আতঙ্কিত হয়ে পরেছে পরিবারটি। এই ঘটনায় রোববার সদর থানায় গরীবউল্লাহর স্ত্রী রাবেয়া বেগম বাদি হয়ে একই এলাকার মোতা গাজীসহ আরো ১০ জনের নামের অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ককটেল হামলায় ঘরের দরজায় দাগ লেগে আছে। টিনের ভেড়া ছিদ্র হয়েছে। ঘরের সামনে ককটেলের খোসা পরে আছে। হামলার শিকার গরীব উল্লাহর স্ত্রী আহত রাবেয়া বেগম বলেন,আমার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। আমি আমার ২ ছেলে ১ মেয়ে নিয়ে ঘরে ঘুমাইছিলাম। ভোর রাতে স্থানীয় সন্ত্রাসী মোতা গাজীর নেতৃত্বে তার ভারাটিয়া সন্ত্রাসীরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই ককটেল হামলা চালিয়েছে। এ সময় আমাকে মারধর করে আমার কানের স্বর্ণের অলঙ্কার ছিনিয়ে নেয় এবং আমাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেয়।
এঘটনার পর থেকে আমরা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। আরো বলেন, তারা এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যায় লোক মারফতে আমাদের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেয়।
তবে ককটেল হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত মোতা গাজী বলেন, ককটেল হামলার সাথে আমি বা আমার কোন লোক জড়িত না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সদর থানার এস আই ইব্রাহীম জানান, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখানে অবিস্ফোরিত একটি তাজা ককটেল পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি। বাদির সাথে আলাপ করতেছি।
নয়া দিগন্ত
Leave a Reply