এক মামলায় আসামিদের গ্রেফতারের সাত দিন পর পুনরায় শ্যোন আরেস্ট দেখানোর আবেদনের ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহউদ্দিনকে তলব করেছে হাইকোর্ট। আগামী ১২ জানুয়ারি তাকে মামলার কেসডকেট (সিডি) সহ হাইকোর্টে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে মুন্সীগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে এই মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৫ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) মামলার আসামিদের জামিন শুনানিকালে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. নাসির উদ্দিন ও লাকী আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী
আইনজীবীরা জানান, চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জের হরগঙ্গা কলেজের একটি মেস থেকে তিন জনকে আটক করে র্যাব। আটকের সময়ে কক্ষ থেকে ২০০ গ্রাম বিস্ফোরক দ্রব্য, ৪৫টি জিহাদি বইপত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় মামলা করে র্যাব।
এই মামলায় গ্রেফতার আসামিরা হলেন- আবু রায়হান লিমন, সাইফুল্লাহ নাইম ও নাবিল চোকদার।
পরে তারা পৃথক আবেদনে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। হাইকোর্ট তাদের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। ওই রুলের শুনানিতে নথি পর্যালোচনায় আদালত দেখতে পান যে, র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরেও গত ৭ ফেব্রুয়ারি মুন্সীগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এবং মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন এই তিন আসামিকে গ্রেফতার দেখানোর (শ্যোন অ্যারেস্ট) জন্য ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন।
এদিকে জামিনের রুল শুনানিকালে হাইকোর্টে হাজির হন মামলায় র্যাবের বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা।
আইনজীবী নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর দিনই থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। ওই মামলায় আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। নিয়মিত মামলায় গ্রেফতারের সাত দিন পর এই তিন আসামিকে পুনরায় আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারের জন্য শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন করা হয়। এই আবেদনের কোন যৌক্তিকতা নাই। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই কর্মকর্তাকে মামলার সিডিসহ তলবের আদেশ দেন। একই সঙ্গে মামলায় র্যাবের বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন।
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর
Leave a Reply