মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার হাসাইল বানারী ইউনিয়নের বিদগাঁও গ্রামে এক প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগে টঙ্গীবাড়ী থানায় দুই গ্রাম্য মাদবরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার দূর্গম চরাঞ্চলের বিদগাওঁ গ্রামের ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী নারীকে (২৩) নিজ বাড়িতে না পেয়ে তার পরিবার তাকে খোঁজ করেছিল। এ সময় ওই এলাকার মোহাম্মদ আলী জমাদার ধর্ষিতার বাড়ির পাশের খেলার মাঠের পূর্ব কোনে টর্চ লাইট মেরে ধর্ষিতার উপর এক ছেলেকে দেখতে পায়। এ সময় ধর্ষক পালিয়ে যায়। পরে ধর্ষিতার পিতা ও তার বোন তাকে উদ্ধার করলে ওই এলাকার আজিজুল মৃধার ছেলে রাসেল মৃধা (১৮) তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানায়।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা ও তার হত দরিদ্র পিতা নুরু শিকদার ও তার বোন ঘটনার পরের দিন সকালে মামলা করার জন্য টঙ্গীবাড়ী থানায় আসার জন্য রওনা হলে স্থানীয় গ্রাম্য মাদবর হারুন জমাদ্দার (৬০) এবং মজিবুর মৃধা (৪০) ধর্ষিতার পরিবারকে বিচারের আশ্বাস দিয়ে ১০ দিন বিভিন্নভাবে হয়রানি করে এবং ধর্ষকের নিকট থেকে মীমাংসা করার আশ্বাস দিয়ে উৎকোচ গ্রহণ করে ধর্ষিতার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করেন।
ঘটনাটি টঙ্গীবাড়ী থানার দুর্গম চরাঞ্চলর হওয়ায় পুলিশ বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সংবাদ পেয়ে ধর্ষিতা ও তার পরিবারকে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে প্রতিবন্ধী ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে ধর্ষক রাসেল মৃধা এবং গ্রাম্য মাদবর হারুন জমাদার ও মজিবর মৃধার নামে টঙ্গীবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে টঙ্গীবাড়ী থানা পুলিশ ধর্ষণকারী ও মাদবরদের নামে নিয়মিত মামলা রুজু করেন। বর্তমানে ধর্ষক রাসেল মৃধা ও মাদবর হারুন জমাদার, মজিবর মৃধা পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী থানা ওসি হরুন অর রশিদ মঙ্গলবার রাতে জানান, আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান চলছে। ধর্ষক ও গ্রাম্য বিচারকের পরিবার গ্রাম থেকে পালিয়ে গেছে। এই ধরনের ঘৃণ্য ঘটনায় যারা শালিশে বিচার করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করবে তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক অধিকার
Leave a Reply