কাজী সাব্বির আহমেদ দীপুঃ কৃষক আলু গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত একটু ভালো ফলনের আশায়। কৃষকরা গাছ দ্রুত গজিয়ে ওঠার জন্য ইঞ্জিনচালিত মেশিনের মাধ্যমে জমিতে পানি ছিটাচ্ছেন। কোথাও আগাছা পরিস্কার করছেন। ওষুধ ছিটিয়ে দিচ্ছেন কৃষক ও শ্রমিকরা।
মুন্সীগঞ্জে কৃষকের আলু গাছ পরিচর্যার কাজে বিভিন্ন জেলার পুরুষ ও নারী শ্রমিকরা বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে কাজ করছেন। জেলার বিভিন্ন স্থানে রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারী, ময়মনসিংহ, কুড়িগ্রামসহ উত্তরবঙ্গের লক্ষাধিক পুরুষ ও নারী শ্রমিক স্থানীয় কৃষকদের গাছ পরিচর্যায় রয়েছেন। মার্চ মাসের শুরু থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শ্রমিকরা মুন্সীগঞ্জ জেলায় অবস্থান করছেন। তারা বিভিন্ন গ্রামে ভাড়া বাসায় পরিবার-পরিজন নিয়ে থেকে কৃষকের জমিতে কাজ করছেন।
প্রতি বছরের মতো এবারও জেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বীজ আলু রোপণ করার পর এখন তা গজিয়ে ওঠায় জমিতে রূপ নিয়েছে সবুজে সমারোহ। শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন আবহে সকাল থেকেই বিস্তীর্ণ জমিতে গজিয়ে ওঠা আলু গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কৃষককুল। একটু ভালো ফলনের আশায় আলু জমিতে কোথাও ইঞ্জিনচালিত মেশিনে পানি ছিটিয়ে, কোথাও আগাছা পরিস্কারের কাজ করছেন কৃষক-শ্রমিকরা।
টঙ্গিবাড়ীর ধামারণ গ্রামের কৃষক সাহাবুদ্দিন হাওলাদার জানান, জমিতে গজিয়ে ওঠা গাছ দেখে এবারও আলুর ফলন ভালো হবে মনে করছেন তিনি। তাই দু’জন শ্রমিক দিয়ে আলু গাছ পরিচর্যায় পানি ছিটিয়ে দিচ্ছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত মৌসুমে ৩৯ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে আবাদে ১৩ লাখ ৫১ হাজার ১২৯ টন আলু উৎপাদন হয়। এর মধ্যে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টন আলু বীজ হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়। আর জেলার ৭৪টি হিমাগারে ধারণক্ষমতা ৫ লাখ টন। প্রায় ৮ লাখ টন আলু বিভিন্নভাবে সংরক্ষণসহ কম মূল্যে বিক্রি করে দেয়। চাহিদার চেয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় আলু উৎপাদন বেশি হওয়ায় গত ৩ মৌসুমে ব্যবসায়ীরা বস্তাপ্রতি ৬শ-৭শ টাকা লোকসানের শিকার হন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. আল মামুন সমকালকে জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৮ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। জেলায় ৭৮ হাজার কৃষক পরিবারের ৪ লাখ ৬৮ হাজার সদস্য কৃষিকাজে জড়িত।
সমকাল
Leave a Reply