২০২০ সালে মুন্সিগঞ্জে কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়নি

২০২০ সালে মুন্সিগঞ্জে কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হোননি। ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে সরকারি হাসপাতালে কোনো রোগী চিকিৎসা নিতেও আসেনি। ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলাতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল ৫২৭ জন। এরমধ্যে দুইজন রোগী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। বাকি ৫২৫ জন সুস্থ হয়ে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য টেস্টিং কিটও রয়েছে।

করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির লক্ষণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর সঙ্গে মিলে যায়। এজন্য হাসপাতালে সেবা নিতে আসাদের ডেঙ্গু ও করোনা এ দুইটি পরীক্ষা করা হয়। করোনা ভাইরাস ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কর্মশালায় মুন্সিগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য জানান।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে মুন্সিগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভা কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর লাইফস্টাইল, হেলথ এডুকেশন অ্যান্ড প্রমোশন এ কর্মশালার আয়োজন করে। এছাড়া এটি বাস্তবায়ন করে জেলা সিভিল সার্জন।

সভায় জানানো হয়, জেলাতে এ পর্যন্ত ৪৩৮৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয় ৬৯ জনের। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ।

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিং করেন মেডিক্যাল অফিসার (সিএস) ডা. দেবরাজ মালাকার, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিং করেন জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আতিকুর রহমান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি মীর নাসির উদ্দিন উজ্জ্বল, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ খোকা এবং জেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

কর্মশালায় সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, করোনা পরীক্ষার জন্য সর্বমোট নমুনা পাঠানো হয়েছে ২১ হাজার ২০৩টি, প্রাপ্ত রিপোর্ট ২০ হাজার ৮৩৪টি। গেল বছরের অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দুইজনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। গেল বছরের ১০ এপ্রিল প্রথম জেলাতে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়।

তিনি জানান, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির লক্ষণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর সঙ্গে মিলে যায়। এজন্য হাসপাতালে সেবা নিতে যারা আসেন তাদের দুইটি পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি ডেঙ্গু। করোনা শনাক্ত করতে এন্টিজেন পরীক্ষা ইতোমধ্যে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চালু হয়েছে। যাদের সব করোনা উপসর্গ আছে তাদের জন্যই কেবল এ পরীক্ষা। যাদের এন্টিজেন ফলাফল নেগেটিভ আসে তাদের শুধু ল্যাবে পরীক্ষার জন্য সোয়াব পাঠিয়ে ফলাফল দেওয়া হয়।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.