অক্সফোর্ডের টিকায় আতঙ্কের কিছু নেই

করোনাভাইরাসের টিকা (ভ্যাকসিন) নিয়ে আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন রোগবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক, সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তিনি বলেন, অক্সফোর্ডের টিকা বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য। এটা নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই। আমিও এই ভ্যাকসিন নিতে চাই। যতদূর জানি, এ টিকা অ্যালার্জির ক্ষেত্রেও তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। দেশবাসীকে বলব, ভ্যাকসিন নিয়ে আপনাদের সন্দেহ-সংশয়ে থাকা উচিত নয়। ভারতের মাধ্যমে অক্সফোর্ডের যে ভ্যাকসিন আসছে, তা সবাই নিতে পারেন।

গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে ফোনালাপে এসব কথা বলেন বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট বি চৌধুরী। আলাপচারিতায় তিনি বলেন, বিশ্বের গ্রহণযোগ্য টিকার একটি হলো অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন। এটা আমাদের দেশে কেউ কেউ বলছেন, দেবেন না। আমি মনে করি, না দেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। বি চৌধুরী বলেন, করোনার প্রধান প্রতিষেধক হচ্ছে ভ্যাকসিন। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত ভ্যাকসিন না আসবে ততক্ষণ মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। তবে ভ্যাকসিনের পরও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। কারণ, সবাই তো আর ভ্যাকসিন পাচ্ছে না। সবার মধ্যেই হার্ড ইমিউনিটি তো আর হচ্ছে না। যাদের হার্ড ইমিউনিটি হবে না, তাদের মধ্যে জার্মটা থেকেই যাবে। তবে শতকরা ৬০ ভাগের মধ্যে টিকা হয়ে গেলে বাকি ৪০ ভাগের মধ্যে হার্ড ইমিউনিটি চলে আসবে। তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের দেশে কম লোকের মধ্যেই ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, তাই মাস্ক পরে থাকাই উচিত। এ ছাড়া বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এমনিতেই মাস্ক পরা জরুরি। ঢাকা শহরে ধুলাবালিসহ নানাবিধ কারণে এটা জরুরি। যতক্ষণ পর্যন্ত ৬০ ভাগ মানুষের মধ্যে টিকা না দেওয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত মাস্ক ব্যবহার করাই উচিত। অধ্যাপক চৌধুরীর মতে, করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে অক্সফোর্ড ও ফাইজারের ভ্যাকসিন ভালো। তবে ফাইজারের টিকা যে তাপমাত্রায় রাখা জরুরি, সেটা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সহনীয় নয়। এ কারণে বাংলাদেশের জন্য অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনই উপযোগী। তবে এটা সরকারকে প্রাথমিকভাবে প্রয়োগ করে কার্যকারিতা যাচাই করা উচিত। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরীক্ষা খুবই কম হচ্ছে জানিয়ে বি চৌধুরী আরও বলেন, আমাদের দেশে তুলমামূলক করোনাভাইরাসের পরীক্ষা কম হচ্ছে। সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ হাজার হতে পারে। কিন্তু আমাদের জনসংখ্যা অনেক বেশি। বিশ্বের কোথাও কোথাও এক লাখের মতো করোনার পরীক্ষা হয়। সেখানে রোগী ধরাও পড়ে বেশি। আমাদের পরীক্ষা কম, রোগীও কম শনাক্ত হয়। আমি মনে করি, আমাদের দেশে করোনাভাইরাস পরীক্ষার পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে।

বিডি-প্রতিদিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.