মুন্সীগঞ্জে মুজিববর্ষে বাড়ি পাচ্ছে ৫০৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার

কাজী দীপু, মুন্সীগঞ্জ:‘মুজিববর্ষে দেশের কোনো মানুষ ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন নির্দেশে সারাদেশের ন্যায় মুন্সীগঞ্জে ৫ শত ৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে সেমি পাকা বাড়ি। এসব বাড়ীর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ কোটি ৬৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। প্রতিটি পাকা বাড়ির নির্মাণের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প, ভূমি মন্ত্রণালয়ের গুচ্ছগ্রাম ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ সহনীয় বাড়ী প্রকল্পের সুবিধাভোগী ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার নিয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার তার কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন। জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর বছরে অর্থাৎ মুজিববর্ষে এটিই হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার। তিনি জানান, ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই শতাংশ জায়গায় উপর নির্মিত প্রতিটি বাড়িতে দু’টি শয়ন কক্ষ, একটি মালামাল সংরক্ষণের ছোট কক্ষ থাকছে। এছাড়াও এ ঘরটিতে একটি টয়লেট ও রান্না ঘর এবংবাড়ির সামনে থাকবে একটি বারান্দা।

জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানান, মুন্সীগঞ্জ জেলায় মোট ৫০৮ টি বাড়ির মধ্যে সদর উপজেলার ১০০ ভূমিহীনও গৃহহীন পরিবার, গজারিয়ায় ৫০ পরিবার, লৌহজংয়ে ১৪৩ টি পরিবার, সিরাজদিখান উপজেলায় ২৫ টি, টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ২০টি ও শ্রীনগর উপজেলায় ৭০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাবে মুজিববর্ষের বিশেষ উপহার সেমি পাকা বাড়ি। আগামী বছর ( ২০২১ সাল) জানুয়ারির প্রথম দিকে জেলার ৬ট উপজেলায় ৩২০টি বাড়ি বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

অপরদিকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায় বলেন, ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ পাবে মুজিববর্ষের এই বিশেষ উপহার। ইউনিয়ন পর্যায়ে যাচাই বাচাই করে (ইউএনও) মাধ্যমে জেলায় মোট ৫ শত ৮টি পরিবার পাবে এ উপহার। সব কিছু স্বাভাবিক থাকলে আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যেই সবকটি বাড়ি কাঙ্খিত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

গ্রামনগর বার্তা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.