মুন্সীগঞ্জে ১ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ ধরনের রিপোর্ট পাওয়ায় দিশেহারা রোগী

মুন্সীগঞ্জে দুটি বেসরকারি ক্লিনিকে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করতে গিয়ে দু‘ধরনের রিপোর্ট এসেছে। গত কয়েক দিন আগে ১১ বছরের একটি শিশু আব্দুর রহিম সাইকেল দুর্ঘটনায় হাঁটুতে ব্যথা পায়। সহকারী প্রফেসর (অর্থপেডিক) ডা: এম এ মালেক মুরাদের কাছে সিপাহী পাড়ার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয় ওই শিশু। তার চিকিৎসা মোতাবেক পায়ের অপারেশন করার আগে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করতে তাকে পাঠানো হয় এপোলো ডায়াগনোস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার সিপাহী পাড়ায়। তারা এই রোগীর অন্য সকল পরীক্ষার সাথে রক্তের গ্রুপের পরীক্ষাও করেন কিন্ত তাদের গ্রুপের পরীক্ষায় ছেলেটির রক্তের গ্রুপ আসে ‘ও’ পজেটিভ।

পরে ডা. মুরাদ হাসান ওই রোগীকে মুন্সীগঞ্জ কেয়ার হাসাপাতালে পাঠান এই পরীক্ষাগুলো পুনরায় করার জন্য। কারণ অপারেশন এই হাসপাতালেই করা হবে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো এক ঘণ্টার ব্যবধানে রক্তের গ্রুপের পরীক্ষার রিপোর্ট ‘বি’ পজেটিভ আসে। দু‘হাসপাতালে দু’ধরনের রক্তের গ্রুপের রিপোর্ট দেখে রোগীর পরিবার দিশেহারা পড়ে।

রোগীর বাবা আলমগীর হোসেন জানান, ‘দুই ক্লিনিকের দুই ধরনের রিপোর্টে আমরা খুবই হতাশ। এক কথায় আমরা দিশেহারা এখন। একই পরীক্ষা দুই হাসপাতালে করাতে হয়েছে। তাও আবার ভুল রিপোর্ট দিয়েছে। ছেলের রক্তের গ্রুপ ‘বি’ পজেটিভ।’

এ বিষয়ে এপোলো ডায়াগনোস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারে দায়িত্বরত মার্কেটিং অফিসার শহিদুল করিম জানান, এক ঘণ্টার মধ্যে রক্তের গ্রুপ পরিবর্তন হওয়ার কথা না। টাইপিস্ট যদি ভুল করে তবে ভুল আসতে পারে অন্যথায় না।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ কেয়ার হাসপাতালের ডাক্তার এম এ মালেক মুরাদ জানান, রোগীর অপারেশন করা হয়েছে। তবে রক্তের গ্রুপের যে পরিবর্তন হয়েছে সেটা এপোলো ডায়াগনোস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার সিপাহী পাড়ায় দায়িত্বরত টাইপিস্ট ভুল করে ‘বি’ পজেটিভের পরিবর্তে ‘ও’ পজেটিভ টাইপ করেছে। ক্রস চেকিং করে রোগীর অপারেশন করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে রোগীর রক্তের গ্রুপ ‘বি’ পজেটিভ।

ভুল রিপোর্ট দেয়ার ক্ষেত্রে ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মো: মঞ্জুরুল আলম জানান, রিপোর্ট এর কপি পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা যাবে। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নয়া দিগন্ত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.