মুন্সীগঞ্জ সদরের আধারা ইউনিয়নের বকুলতলা গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মনির হোসেন মোল্লা (৭০) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। এ সময় সংঘর্ষে আরও ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
পুলিশ, স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আধারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি আলী হোসেন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ হোসেনের গ্রুপের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য নিয়ে সোমবার বিকাল থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে পথচারী মনির হোসেনসহ ১১ জন গুলিবিদ্ধ হন। পরে গুলিবিদ্ধ মনির হোসেনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মনির হোসেন বকুলতলা গ্রামের মৃত মোতালেব মোল্লার ছেলে।
নিহত মনির হোসেনের মেয়ে সোনিয়া আক্তার বলেন, সোমবার বিকালে নামাজের উদ্দেশ্যে বের হন বাবা। পথে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হলে তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানে তিনি মারা যান। গোলাগুলির ঘটনায় জড়িতদের বিচার চাই আমরা।
আহত অন্যরা হলেন ফরহাদুল ইসলাম (২০), আলী নায়েব (৬৫), মোহাম্মদ মাহিম (১৮), জমসেদ নায়েব (৪৫), হাসান (২৫), আশিক (২১), হৃদয় (১৮), রিয়াজ (২৫) ও রাসেল (২৪) ও আলভী (১৮)।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রুহুল আমিন বলেন, সোমবার রাত ৮টার দিকে বকুলতলা থেকে ১১ জন রোগী আসেন। তারা সবাই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আমরা তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব বলেন, সন্ধ্যায় আধারা ইউনিয়নের বকুলতলায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে ১১ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন বলেন, সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন বলে খবর পেয়েছি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলা ট্রিবিউন
Leave a Reply