শ্রীনগর উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের কুকুটিয়া বাজার-নাগের হাট এলজিইডি’র সড়কটির পুর্ব মুন্সীয়া জিএম শাজাহানের বাড়ি সংলগ্ন অবৈধভাবে সড়ক ছিদ্র করে ড্রেজার পাইপ লাইনের সংযোগ দেয়া হয়েছে। এতে করে সড়কের দক্ষিণ পাশে ৫/৬ ফুট পাকা রাস্তা দেবে গেছে। ওই বসতবাড়ি পাশে সড়কটির নিচ দিয়ে ছিদ্র করে ড্রেজারের মোটা প্লাষ্টিকের পাইপ টানার ফলে রাস্তার ক্ষতিসাধন হচ্ছে। যে কোনো সময় বৃষ্টির পানির ঢলে সড়কের ওই স্থানটি ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, রাতের আধারে ড্রেজার ব্যবসায়ীরা সড়ক ছিদ্র করে দুই পাশের বির্স্তীণ চকে/বিলে ড্রেজারের সংযোগ দেয়া হয়েছে। ড্রেজার সিন্ডিকেটটি সরকারের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন ফসলি জমি কাটা ও জলাশয়, পুকুর, খাল ও অন্যান্য কৃষিজমি ভরাট বাণিজ্য করার পাশাপাশি এসব ড্রেজারে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়ক ও গ্রামীন রাস্তাঘাট বেহাল করা হচ্ছে। সড়ক থেকে অবৈধ ড্রেজারের সংযোগটি উচ্ছেদের জন্য সংশ্লিষ্টজনদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
একটি সূত্র জানায়, পার্শ্ববর্তী সিরাজদিখান উপজেলার মো. মনিরের নামে এক ব্যক্তির মালিকানা ড্রেজারটি তার ছেলে মো. ইব্রাহিম ও কুকুটিয়া ইউনিয়নের নাগরভোগ এলাকার মো. সজল মিয়ার ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ড্রেজারটি। মোয়াজ্জেম গং রাতের আধারে সড়ক ছিদ্র করে অবৈধ ড্রেজারের পাইপ লাইনের সংযোগ দেয়। স্থানীয় ভূমি তহশিলদারকে ম্যানেজ করে মোয়াজ্জেম-ইব্রাহিম সিন্ডিকেট নাগরভোগ গ্রামসহ এর আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন ফসলি জমি ও জলাধার ভরাট করে বাণিজ্য করে যাচ্ছে। প্রভাবশালী ড্রেজার সিন্ডিকেটের ভয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে সাহস পান না।
মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার নিয়ন্ত্রণে কোন ড্রেজার নেই।
ছিদ্র করায় সড়কের গুরুত্বপূর্ণ ওই স্থানটি দেবে যাওয়ার বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. রাজিউল্লাহ্র সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এ বিষয়ে কুকুটিয়া ইউনিয়ন ভূমি তহশিলদার গোলাম কিবরিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সড়ক ছিদ্র করার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি এখনই খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ড্রেজার ব্যবসায়ীদের সাথে তার কোন রকম সখ্যতা নেই বলে জানান তিনি।
নিউজজি
Leave a Reply