মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থেকে প্রতিদিন ঢাকায় আসা-যাওয়া করে দুটি পরিবহনের বাস। বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার আগে এসব বাসের কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয় মাওয়া-মুন্সীগঞ্জ হাইওয়েতে। এ পথের মাঝামাঝি হলদিয়া ইউনিয়নের ছাতি মসজিদের কাছে একটি খালের ওপর রয়েছে বেইলি ব্রিজ। দীর্ঘদিন ধরে এ সেতুর ইস্পাতের প্লেটগুলো আলগা হয়ে পড়েছে। এখানে-ওখানে খুলে গেছে নাট-বোল্ট। এতে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে হাজারো মানুষকে।
মাওয়া-বালিগাঁও-মুন্সীগঞ্জ হাইওয়েটি জেলার অন্যতম প্রধান সড়ক। মাওয়া থেকে লৌহজং ও বালিগাঁও হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদরে যাতায়াতের প্রধান সড়ক এটি। বাস ছাড়াও অটোরিকশাসহ স্থানীয় বিভিন্ন যানবাহনে জনসাধারণকে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু ছাতি মসজিদসংলগ্ন বেইলি ব্রিজটির কারণে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে ওই সেতু ভেঙে খালে পড়ে সিমেন্টবাহী একটি ট্রাক। এতে তিন সপ্তাহ সেখানে যান চলাচল বন্ধ ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, সেতুটি দিয়ে পাঁচ টনের বেশি বোঝাই করা যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ। তবে প্রতিনিয়ত ১৫ থেকে ২০ টন ওজন নিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ডভ্যান চলাচল করে। বিশাল গাছের গুঁড়ি নিয়ে লরিও যাতায়াত করে।
নিয়মিত ওই পথে অটোরিকশায় যাত্রী পরিবহন করেন আবদুল হালিম। তিনি বলেন, সেতুতে উঠলেই অস্বাভাবিকভাবে দুলতে থাকে।
গাঙচিল পরিবহনের একটি বাসের চালক আবদুল হাই বলেন, সেতুর একটি প্লেটের সঙ্গে আরেকটি প্লেটের জোড়া (ওয়েল্ডিং) খুলে গেছে। নেই বেশিরভাগ নাট-বোল্ট। যে কারণে বাস উঠলেই বিকট শব্দ হয়।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, তিনি কয়েকবার সেতুটি পরিদর্শন করেছেন। মেরামতের জন্য শ্রমিক পাওয়া যায় না।
ইউএনও মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘সেতুটি ঝুঁকিমুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সওজ বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি।’
সমকাল
Leave a Reply