মুন্সীগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। প্রতিদিন সহস্রাধিক বালুবাহী নৌযান প্রায় ৫০ লাখ ঘনফুট বালু লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের জরিমানার পরও রাতদিন বালু উত্তোলন চলছেই।
গত ছয় মাসে পদ্মায় অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে ২০০ নৌযান অকেজো এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়।
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ ৩-এর সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস সম্প্রতি সময় সংবাদকে বলেন, অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে, পাশাপাশি অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পদ্মা সেতু এলাকায় জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ৮১ বর্গ কিলোমিটার কোর জোন এলাকায় প্রকৃতি বিনষ্টের কোনো কার্যক্রম করা যাবে না। আর ৩৬ বর্গ কিলোমিটারের বাফা জোনে অনুমতি সাপেক্ষে ভ্রমণ ও সম্পদ আরোহণ করা যাবে। সরকারের বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ঘোষণা করা এই দুই জোনে ১১৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ৮৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকাই নদী। সেখানেই অপরিকল্পিতভাবে বালু লুটের হিড়িক পড়েছে। এতে জীববৈচিত্র্যে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি প্রভাবশালী একটি বালু সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ লৌহজংয়ের উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল আউয়াল বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে রাতদিন অভিযান চলছে।
অপরদিকে মুন্সীগঞ্জ বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান বলেন, সরিষার ভেতরে ভূত থাকায় অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না।
বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ঘোষিত এলাকায় অন্তত ১৫০ অবৈধ ড্রেজার পদ্মার তলদেশ ক্ষতবিক্ষত করছে।
সময় সংবাদ
Leave a Reply