মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কভার্ড ভ্যান ও বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় শিশুসহ একই পরিবারের দুই জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সৌদি আরব প্রবাসীসহ আরও চারজন।
রোববার ভোর পৌনে ৪টার দিকে মহাসড়কের বক্তারকান্দি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে গজারিয়ায় হাইওয়ে ফাঁড়ির এসআই রিয়াদ হোসেন জানান।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লার তিতাসের উত্তর বলরামপুর এলাকার দুলাল মিয়া (৬০) ও মোহাম্মদ হোসাইন (১০)।
এসআই রিয়াদ হোসেন জানান, সৌদি আরব প্রবাসী মোমেন মিয়া (৩৫) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাইক্রোবাসে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কুমিল্লার তিতাসের উত্তর বলরামপুর ফিরছিলেন।
পথে বক্তারকান্দি এলাকায় মাইক্রোবাসটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় একটি কভার্ড ভ্যান। এতে মাইক্রোবাসটি ছিটকে ডিভাইডারের উপর দিয়ে ঢাকাগামী লেনে চলে যায়।
এ সময় ঢাকামুখী শান্তি পরিবহনের দ্রুত গতির একটি বাস মাইক্রোবাসটিকে দ্বিতীয় দফায় ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
এ ঘটনায় আহতদের গজারিয়ায় ভবেরচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুলাল মিয়া ও মোহাম্মদ হোসাইনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ছাড়া গুরুতর আহত মোমেন এবং তার ছোট ভাই আক্তার হোসেনকে (৩০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মাইক্রোবাসের চালক ও আরেক যাত্রী ভবেরচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
নিহত দুলাল মিয়া মোমেনের ভগ্নিপতি এবং মোহাম্মদ হোসাইন মোমেনের ভাতিজা। তাদের মরদেহ গজারিয়ায় ভবেরচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে বলে জানান এসআই রিয়াদ হোসেন।
তিনি আরও জানান, মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেওয়ার পর খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকাগামী শান্তি পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের গাছের সাথেও ধাক্কা খায়।
তবে বাসটিতে থাকা সাজেক ভ্যালি থেকে ফেরা পিকনিকের ৪০ যাত্রী অক্ষত আছেন। তাদের অন্য একটি বাসে করে গন্তব্যে পাঠানো হয়েছে।
চালকরা পালিয়ে গেলেও পুলিশ কভার্ড ভ্যান ও বাসটি আটক করেছে; বিধ্বস্ত মাইক্রোবাসটিও পুলিশ জব্দ করেছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বিডিনিউজ
Leave a Reply