শ্রীনগরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শ্যামসিদ্ধি ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রবিন হোসেনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিপক্ষ একই ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য রাশিদা বেগমের দুই ছেলে রাসেল ও রুবেলের নেতৃত্বে এই হামলার অভিযোগ উঠে।

রবিন মেম্বার আহত হওয়া খবর ছড়িয়ে পড়লে তার স্বজনরা ঘটনাস্থলে আসলে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রবিন মেম্বার বাদি হয়ে শ্রীনগর থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

অন্যদিকে ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতে এক মেম্বারের ওপর অপর মেম্বারের লোকজনের হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।

স্থানীয়রা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ হলো গ্রাম্য আদালত। চেয়ারম্যান এর বিচারক। এখানে যদি মেম্বার নির্যাতনের শিকার হন তাহলে সাধারণ মানুষ এই জায়গায় কতটা নিরাপদ। পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ধরনের ঘটনা অতিদুঃখ জনক।

ইউপি সদস্য রবিন হোসেন অভিযোগ করেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এমারতের হুকুমে মহিলা মেম্বারের ছেলেরা আমার ওপর হামলা চালায়। চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য মেম্বারদের উপস্থিতিতে আমাকে মারধর করে। হামলাকারীদের ধারালো ছেনের আঘাতে আমি রক্তাত্ব জখম হই। আমার চাচাতো ভাই দেলোয়ার হোসেন আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। উপায় না পেয়ে শ্রীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করি।

এ বিষয়ে জানতে রাসেল ও রুবেলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের স্বাক্ষাত পাওয়া যায়নি।

মহিলা ইউপি সদস্য রাশিদা বেগমের কাছে জানতে চাইলে বলেন, রবিন মেম্বার আমাকে গালমন্ধ করলে ছেলেরা উত্তেজিত হয়। এতে মারামারির ঘটনা ঘটে। আমিও থানায় অভিযোগ দায়ের করে এসেছি।

শ্যামসিদ্ধি ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাজির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাল বিতরণের সময় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বাহিরে যাই। রবিন মেম্বারকে হয়তো তারা কিলঘুষি দিয়েছে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশকে ফোন করি।

এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই আহসান হাবিব জানান, দুইটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজজি