মুন্সীগঞ্জে বেওয়ারিশ দাফন, কবর খুঁড়ে মরদেহ তোলার নির্দেশ আদালতের

ঢাকা থেকে নিখোঁজ স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ মুন্সীগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয় তাকে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের (ফেসবুক) একটি পোস্টে স্বজনরা ইমতিয়াজের শেষ পরিণতির কথা জানতে পারেন। এরপর মরদেহ পেতে আদালতে আবেদন করেন স্বজনরা।

অবশেষে সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে সিরাজদিখানে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মানিক দাশের আমলি আদালতে আবেদন করেন নিহত স্থপতি ইমতিয়াজের স্ত্রী ফাহমিদা জেরিন। সন্ধ্যায় আদালত মরদেহ উত্তোলনের আদেশ দিয়েছেন।

স্ত্রী ফাহমিদা জেরিন বলেন, ১৫তম বিবাহবার্ষিকী পালন এবং শবেবরাতের রাতের নামাজ নিয়ে পরিকল্পনা করেন স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ। এরপর তেজকুনিপাড়ার বাসা থেকে তিনি ৭ মার্চ দুপুরে একটি নকশা প্রিন্ট করতে বের হয়ে আর ফেরেননি। পরে তার ফোনের সর্বশেষ অবস্থান দেখে কলাবাগান থানায় জিডি করা হয়। এদিকে ৮ মার্চ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার তুলসিখালি সেতুর নিচ থেকে ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ৯ মার্চ ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে মরদেহ মুন্সীগঞ্জ পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয় ১৬ মার্চ।

নিহত স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদের স্ত্রী আরও জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই রিপোর্ট লিংকের কমেন্ট বক্সে শনিবার ( ১৮ মার্চ) মরদেহের একটি ছবি দেখে তার স্বজনরা মুন্সীগঞ্জের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে শনাক্তকরণে আসেন। এরপরই আইনি প্রক্রিয়ায় মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সোমবার (২০ মার্চ) মরদেহ উত্তোলনের আদেশ দেন আদালত। মঙ্গলবার মরদেহ তুলে তার গ্রামের বাড়ি মুরাদনগরের পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের কথা রয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ কোর্ট পরিদর্শক জামাল উদ্দিন জানান, স্বজনরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছেন। তবে কীভাবে তিনি মারা গেলেন, সে বিষয়ে এখনি কিছু বলা যাচ্ছে না।

সময় সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.