হাসাইল-গারুরগাঁও সড়ক: সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে জমে যায় হাঁটুপানি

সামান্য বৃষ্টিতেই মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার হাসাইল-গারুরগাঁও সড়কে হাঁটুসমান পানি জমে যাচ্ছে। এতে যানবাহন ও পথচারী চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এমনকি পানিতে ডুবে থাকা সড়কে সৃষ্ট গর্তে ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। সড়কটিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘ দিন ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছে এলাকার মানুষ।

স্থানীয়রা বলছেন, এ জলাবদ্ধতা মাসের পর মাস থাকলেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। অথচ সড়কটি ব্যবহার করে তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, বাড়ি নির্মাণের সময় পানি নিষ্কাশনের নালা না রাখায় জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, গত শুক্রবার রাতের বৃষ্টিতে হাসাইল বানারী ইউনিয়নের ব্যাংক এশিয়া-গারুরগাঁও যাতায়াতের সড়কে প্রায় ৫০০ মিটার এলাকা পানিতে তলিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাবু দেওয়ানের দোকান থেকে জহুল গাইনের দোকান পর্যন্ত সড়ক ডুবে আছে।

টঙ্গিবাড়ীর হাসাইল–গারুরগাঁও সড়কে বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষের – সমকাল

বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর কিছু অংশ থেকে পানি সরে গেলেও অধিকাংশ জায়গা ডুবে আছে। স্থানীয় বাবু দেওয়ানের দোকান থেকে তাজু মোল্লার বাড়ি পর্যন্ত হাঁটুসমান পানি জমে গেছে। এ অবস্থায় ফের বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
স্থানীয় মনা ছৈয়াল, তাজু মোল্লা, কাদির ছৈয়াল, নাজমুল হোসেন, দিদার ফকিরসহ অনেকে জানান, বৃষ্টি হলেই এ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। দীর্ঘ দিনেও পানি সরতে পারে না। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সড়কের কাছেই বাড়ি হওয়ায় উত্তর ও দক্ষিণ পাশে যেতে হলে পানিতে ভিজে জরুরি কাজে বের হতে হয়।

অভিযোগ উঠেছে, এ বিষয়ে অনেকবার ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বললেও কোনো সুরাহা হয়নি। তাঁরা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন। তবে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেননি।

এ বিষয়ে হাসাইল বানারী ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য বাবু হাওলাদার বলেন, সড়কটি সংস্কারে কয়েক দফায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তাঁরা সংস্কার করার আশ্বাস দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেননি।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহ মোয়াজ্জেম জানান, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রেখে বাড়িঘর নির্মাণ করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে নালা নির্মাণ করে সমস্যা নিরসনের প্রক্রিয়া চলছে।

সমকাল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.