মুক্তারপুর সেতুর মুখই মরণফাঁদ, আড়াআড়ি সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা

মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর সেতুর মুখেই অপরিকল্পিত ফেরিঘাট-মিরকাদিম আড়াআড়ি সড়ক। গত এক বছরে ঘটেছে অন্তত ২০টি দুর্ঘটনা। বিকল্প সড়ক না থাকায় সেতুর মুখটি এখন যেন মরণফাঁদ। আর যানজটে মানুষের বিড়ম্বনার যেন শেষ নেই।

পদ্মা সেতু ও শীতলক্ষ্যা-৩ সেতু চালুর পর মুক্তারপুর সেতুর গুরুত্ব বেড়েছে। এ ছাড়া মুক্তারপুর থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরত্বের রাজধানী ও ৯ কিলোমিটার দূরত্বে নারায়ণগঞ্জে এই পথে হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত। কিন্তু সেতুর প্রবেশপথেই আড়াআড়ি মিরকাদিম-পুরাতন ফেরিঘাট সড়ক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। যদিও সেতুটির দুপাশেই রয়েছে প্রশস্ত রাস্তা।

সেতু থেকে নামার সময় এক ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অন্তত ১৫টি যানকে ধাক্কা দেয়ার আলোচিত ঘটনা ছাড়াও গত এক বছরে এখানে অন্তত ২০টি দুর্ঘটনায় প্রাণহানিসহ পঙ্গু হয়েছে অনেকে।

২০০৮ সালে চালু হওয়া ১৫২১ মিটার দীর্ঘ মুক্তারপুর সেতুতে দ্রুতগতির যানবাহন ওঠানামার সময় আড়াআড়ি সড়কটি যানবাহনের সঙ্গে বেধে যাচ্ছে সংঘর্ষ। তাই দুর্ঘটনা ছাড়াও যানজট লেগেই আছে।

স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে মুন্সীগঞ্জে প্রবেশের অন্যতম পথ হচ্ছে এই মুক্তারপুর সেতু। এই সেতুর প্রবেশের মুখের সামনে দুটি লিংক রোড থেকে সরাসরি গাড়িগুলো আসছে। লিংক রোড দিয়ে দুপাশের মানুষ পারাপার হয়। এতে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। ব্রিজের দুই পাশে যদি দুটি বাইপাস রাস্তা করে দেয়া যায়, তা হলে স্থানীয় এলাকাবাসীর যাতায়াতের সমস্যা থাকবে না। সেই সঙ্গে ব্রিজে চলাচলকারী গাড়ির সঙ্গে কোনো দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটবে না।

মুক্তারপুরের হাবিবুর রহমান মাস্টার জানান, সেতুর দুই পাশেই পর্যাপ্ত সড়কের জায়গা রয়েছে, যা সড়ক হিসেবে ব্যবহারও হচ্ছে। সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম দুই পাশ দিয়ে সড়ক তৈরি করে দিয়ে সেতুর মুখের পরিবর্তে নিচের ফাঁকা অংশ দিয়ে লিঙ্ক রোডের যান চলাচল করলে সংকটের সমাধান সম্ভব।

ট্রাকচালক সুমন মিয়া বলেন, যখন বেলা বাড়ে এখানকার চারদিকের প্রবেশমুখ বন্ধ হয়ে যায়। থাকে না কোনো পুলিশ। যে অটোগুলো আছে সেগুলো ব্রিজের প্রবেশমুখে জটলা সৃষ্টি করে। ব্রিজের ঢালে গাড়ির যে স্পিড থাকে হঠাৎ যদি আমরা ব্র্র্যাক করি তখন অনেক সময় ব্র্যাক ফেল হতে পারে। সামনে স্পিডব্রেকার থাকলে গতি বেশি থাকলে সামনে যেসব গাড়ি থাকে সেগুলোর মধ্যে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোনায়েম সরকার বলেন, ‘মুক্তারপুর ব্রিজসংলগ্ন এলাকাটিতে সড়ক বিভাগ, এলজিইডির সড়ক রয়েছে। তাই সড়ক বিভাগের সমন্বয় প্রয়োজন। আমি চেষ্টা করব অন্য ডিপার্টমেন্টের সমন্বয়ে বাস্তবসম্মত ও সুন্দর একটা সমাধানে আনতে পারি এবং বাস্তবায়ন করতে পারি।’

সময় সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.