মাওয়ায় ২ ঘন্টার মাছের আড়তে কোটি টাকা বিক্রি

মোঃ রুবেল ইসলামঃ তাজা ও ভেজালবিহীন মাছের জন্য সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে বহু আলোচিত মাওয়া মৎস্য আড়তে। এটি প্রায় দুই যুগের ওবেশি আগে প্রতিষ্ঠিত মাওয়ায় এ পদ্মা পাড়ের মাছের বাজার নামক মাওয়া মৎস আড়ৎ হিসেবে পরিচিত । ও পাইকারী বাজার নামে রূপলাভ করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যেমন মাছ ব্যবসায়ীরা তাদের মাছ বিক্রির জন্য

আসে, তেমনি ঢাকাসহ দূর দূরান্তের পাইকারাও এখানে আসে তাজা মাছ কিনতে। তবে দাম একটু চওড়া হলেও তাজা মাছের কোন প্রকার জুড়ি নেই।এখানে সন্ধ্যা রাত্রের আসা কিছু কিছু মাছ বরফ দেয়া থাকলেও ফরমালিন মুক্ত মাছ এ বাজারে পাওয়া যায়। মাত্র দুই ঘন্টার এ মৎস্য আড়তে প্রতিদিন ১কোটি টাকার মাছ বিকি-কিনি হয়ে থাকে।

আজ থেকে প্রায় ৩১ বছর আগে মাওয়া চৌরাস্তার পশ্চিমে পদ্মা পাড়্।এে আড়ত টি খুব ভোরে জেলেরা রাতে পদ্মা মেঘনাও বিভিন্ন নদী থেকে মাছ ধরে বিক্রির জন্য এ আড়তে এসে বিক্রিকরেন । পাইকাররা এখান থেকে অল্পদামে কিনে ট্রাকে করে ঢাকায় নিয়ে বেশী দামে বিক্রি করেন। সেই সাথে স্থানীয় স্ব”ছল ও মাছ প্রিয় মানুষগুলো পদ্মার তাজা মাছ কিনতে ছুটে আসতেন এই পদ্মা পাড়ে ।আবার অনেকে বিয়েসাদী,জন্মদিন ও অন্যান্য কোন অনুষ্টানের জন্য অতিথিদের আপ্যায়নে পদ্মার বড় ও তাজা মাছের জন্য সকাল সকাল ছুটে আসেন এই পদ্মা পাড়ে। এভাবে করেই ৫/৭জন আড়তদার থেকে এর পরিচিতি বেড়ে ২৯জন আড়তদার । এমন কি বড় বড় মাছ দেখার জন্য খোব ভোরে নামাজ পড়ে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে থেকে লোকজন ছুটে আসে পরিবার পরিজনকে নিয়ে এ বাজারে। প্রতিদিন সকালে বেশ জমে উঠতে থাকে এ মাছের বাজার। সেই থেকে শুরুকরে এটি এখন একটি মৎস্য আড়তে পরিণত হয়েছে। জেলেরা এখন আর মাছ নিয়ে ঢাকার আড়তে গুলোতে যায় না । বরং তাজা মাছের জন্য পাইকারাই ছুটে আসেন মাওয়া এ মৎস আড়তে।

মাওয়া মৎস্য আড়তের সেক্রেটেরী মোঃ চান মিঞা মাদবর জানন, প্রতিদিন এ আড়ৎ হতে ১কোটি টাকার মাছ বিকি-কিনি হয়ে থাকে। বরিশাল, খুলনা, বাগের হাট, ময়মনসিংহসহ পদ্মার ও দেশের বিভিন অঞ্চলের জেলেরা এখানে মাছ নিয়ে আসেন বিক্রির জন্য। সাধারণত ইলিশ সহ বড়বড় মাছ এখানে আসে বেশী। মুন্সীগঞ্জ-(বিক্রমপুর )ও ঢাকাসহ দেশের দূর দূরান্ত থেকে মাছের পাইকাররা এখানে এসে মাছ কিনে নিয়ে বিভিন্ন বাজারগুলোতে সরবরাহ করে থাকে। ভোররাত ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত মাত্র দুই ঘন্টা বেচাকেনা হয়। যেদিন মাছ বেশী আসে সেদিন কিছুটা বেশী সময় ধরে এখানে মাছের বেচা-কেনা হয়।তবে মাত্র দুই ঘান্টায় কোটি টাকার বেশী লেন-দেন হয়ে থাকে। মাছের দাম টা যদিও একটু বেশী, তাজা ও ভেজাল বিহীন মাছের জন্য এ আড়তের সুনাম ইতিমধ্যে ঢাকাসহ বিভিন্ন দেশের লোকের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকায় বসবাস করেন যারা এ মাছের আড়ৎ সম্পর্কে জানেন, বড় কোন অনুষ্ঠান হলেই তাজা ও বড় মাছের জন্য ছুটে আসেন এই আড়তে। তিনি আরো বলেন,এখানে মাছ বেচা-কেনা হয় নিলামে বা ডাকের মাধ্যমে।আবার বড় প্রকার মাছের কেজি দরেও পাওয়া যায়।

এদিকে এ মৎস্য আড়ত টি তে গড়ে উঠেছে ২৯জন আড়ত দার মিলিত হয়ে একটি সমবায় সমিতি। এর আয় ব্যয় সমিতির সদস্যরা ভোগ করে থাকেন।এ সমিতির মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ায় এখানে পাইকাররা কখনও কোন দুর্ঘটনার শিকার হননি। সমিতির সদস্যরা নিরাপত্তার জন্য সব সময় কাজ করে এখানে ১কোটি টাকার লেন-দেন হলেও নিরাপত্তার জন্য কখনও পুলিশ ডাকতে হয়নি। তবে আড়ত টির জায়গা কম থাকায় এখানে ভোর সকাল থেকেই বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়।

পাইকারিদের মাছের ট্রাকগুলো ঠিক মত আড়তের কাছাকাছি পার্কিং ও না আসতে পাড়ায় চড়ম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। আড়তদার মোঃ আঃমজিদ শেখ. ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনেকেই অভিযোগকরে জানান এখানে ৮৭টি মোদিদোকান প্রায় ২/৩শ কয়াল-কর্মচারী অধ্যদিনমজুর, আড়তের থাকা, হোটেলসহ নানা খাবারের ব্যবসায়ী আরও ১হাজার ঘাট নিয়ে কর্মরত চলাচল রত সাড়ে ১হাজার ও ১১টি মাছের -ট্রাকে সিএনজি, টমটম টেম্পু অটো কম্পানিতে রয়েছে প্রায় ১৬শ শ্রমিক এরা সবাই মিলে এ আড়তের রুটি রুজির উপর দিনমজুর। সরকারের দেয়া জায়গার উপর ১মাস চলছে আড়তদারি করে আসছি।

মাওয়া পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকার নীতিমালা মেনে সবাইকে। এরআগে গত বছর পদ্মা সেতুর কাজের জন্য মাওয়া ঋৃষিবাড়ি ঘাট থেকে আড়তটি সরিয়ে ইস্থাই ভাবে আনাহলো ১০০মিঃ উত্তরের এলাকায়। তবে সরকারের নদী শাসনের কাজের জন্য নেয়া সাবেক জায়গার তুলনায় বর্তমানে জায়গা পেয়েছি কম তাতে আড়তে যানজটর সৃষ্টি হয়ে পড়েছে । মানুষগুলোর বিষয়ে সরকার কী ভাবছে তাস্পষ্ট করেননি ও শ্রমিকদের উদ্বেগের বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি । প্রশাসন এ ব্যাপারে মাওয়া লৌহজং থানার ওসি মোল্লা জাকির হোসেন জানান, যানজট নিরসন সহ আড়তের সার্বিক নিরপত্তায় পুলিশ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করতে যাচ্ছে। এটি দেশের অন্যতম একটি মৎস্য আরত হিসাবে খ্যাতি পেয়েছে। তাই সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে প্রশাসন বদ্ধপরিকর। অচিরেই এই আরতের সমস্যাগুলো নিরসন করা হবে।

বিক্রমপুর চিত্র

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.