প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, তবুও বহাল!

সিরাজদিখান উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ ইছাপুরা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমেছে। বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও বহাল তবিয়তে আছেন তিনি। শত শত ছাত্র-ছাত্রী ও অভিবাবকদের আন্দোলনেও গাঁ মাখছেন না তিনি। কিন্তু থেমে নেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলন।

রবিবার সকালেও প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা।
সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত প্রায় আট শতাধিক স্কুলের ছাত্রছাত্রী দফায় দফায় এ কর্মসূচি পালন করে।

পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করে শিক্ষার্থী ও অভিবাবকরা।

অভিবাবক ও শিক্ষার্থীরা জানান, ২০১২ সালের ১লা জুলাই এ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন মো. নাছির উদ্দিন। এরপর থেকেই শুরু হয় স্কুলের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি। বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী আফসানা আফরিন মিম, সুরাইয়া আক্তার, সাব্বির আহম্মেদ গাজী, স্টুডেন্ট কেবিনেট লিডার মহসিনা আক্তার মিমিসহ অনেকেই জানায়, বিদ্যালয়ে ইচ্ছেমত শিক্ষক নিয়োগ, কোনো ক্লাসে না যাওয়া, উচ্চহারে ভর্তি ফি আদায়, কারও সঙ্গে আলোচনা না করে স্কুলের বার্ষিক ম্যাগাজিন বন্ধ করা, বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অনুপস্থিতির টাকা আত্মসাৎ, ছাত্রদের দিয়ে সিগারেট আনিয়ে খাওয়াসহ নানা অপকর্ম করে আসছেন প্রধান শিক্ষক।

তারা জানান, বর্তমানে বিদ্যালয়ে কোনো নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটি নেই। স্কুলের বর্তমান সভাপতি উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ না করে দুর্নীতি পরায়ণ ও বিতর্কিত লোকদের পরামর্শ নিয়ে চলছে ম্যানেজিং কমিটির কাজ। এসময় স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ও অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকের দ্রুত অপসারণ দাবি করেন। দাবি মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন যাবেন বলে ঘোষণা দেন তারা।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো নাছির উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, একটি মহল পরিকল্পনা করে এসব ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে করাচ্ছে। যেহেতু অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ, তাই এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করব না। যা হওয়ার হবে।

এ ব্যাপারে ইছাপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন হাওলাদার বলেন, প্রধান শিক্ষককে বহিষ্কার ও অপসারণের দাবিতে মিছিল হয়েছে শুনেছি। অভিভাবকদের পক্ষে থেকে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
এলাকার সবার সাথে কথা বলে তার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ইউএনও রওনক আফরোজা সোমা ঢাকাটাইমসকে বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে তার বহিষ্কার ও অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা স্কুলের মাঠ ও গেইটের সামনে বিক্ষোভ করেছে। তদন্তের সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিব।

ঢাকাটাইমস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.