কারাগারে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু: এলাকায় বিক্ষোভ

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আসিফ হাসান (২১) জেলখানায় রোববার মারা গেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটোগ্রাফি কোর্সের ছাত্র আসিফের মৃত্যুতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হত্যার প্রতিবাদে বিকালে সিরাজদিখানে দফায় দফায় প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। মিছিলকারীরা দায়ী পুলিশের গ্রেফতারের দাবি জানান।

কোলা ইউপির বিজয়ী চেয়ারম্যান মীর লিয়াকত আলী জানান, ইউপি নির্বাচনের পরাজিত প্রার্থীর লোকজন গত ১২ এপ্রিল রাতে আসিফকে বেদম প্রহার করে। রহস্যজনক কারণে পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাকে গুরুতর অবস্থায় গ্রেফতার করে। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত আসিফ বমি করা সত্ত্বেও তাকে নামে মাত্র চিকিৎসা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়। মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সিটি স্ক্যান করার পরামর্শ দিলেও তা করা হয়নি।

সিরাজদিখান উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈকত মাহমুদ জানান, আসিফকে ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইয়ামিন (২৫) ও নরুল আমিন (৩০) পরিকল্পিতভাবে পেটায়। বিগত ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নৌকার পক্ষে অবস্থান নেয়াই ছিল আসিফের অপরাধ। আর ইয়ামিন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসির চৌধুরীর পক্ষে কাজ করে।

সিরাজদিখান থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান জানান, সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন হতে পারে মর্মে মতামত দিয়ে আসিফকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল রেফার্ড করে। জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকও সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন। তবে কেন গ্রেফতারকৃত আফিসকে সিটি স্ক্যান করা হয়নি তার জবাব দিতে পারেননি ওসি।

ওসি জানান, আসিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ৭-৮ জনকে নিয়ে ইয়ামিনের ওপর হামলা চালায়। এতে আসিফের মাথার পেছনে কোপ লাগে। পরে লোকজন আফিসকে আটক করে গণপিটুনি দেয়।

মুন্সীগঞ্জের জেলখানার সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সিটি স্ক্যান করার পরামর্শ বা ঢাকায় রেফার্ডের কোন কাগজ জেলখানা পায়নি। বরং চিকিৎসক যে পরামর্শপত্র দিয়েছিল সে অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছিল। রোববার ভোরে অসুস্থ হয়ে পড়লে জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। তারা ঢাকায় রেফার্ড করার পর পর আসিফ মারা যান।

শীর্ষ নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.