শুধু মাত্র বাঁশের তৈরী মাছ ধরার উপকরণ চাঁই বুনে ভাগ্য ফিড়িয়েছে গজারিয়ার উপজেলায় ভবেরচর ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের প্রায় অর্ধঃশতাধিক পরিবার। বছরের বেশীর ভাগ সময়ই গ্রামের সকল বয়সের নারী পুরুষ মিলে প্রচুর পরিমানের অর্থ উপার্জন করছে এই কাজ করে।
প্রাকৃতিক উৎস থেকে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করা বাঙ্গালীর আবহমান কালের সৃষ্টি। দরিদ্র মৎস্যজীবী এবং অ-মৎস্যজীবীরা গ্রীষ্মের শেষ সময় থেকে গ্রামাঞ্চলের খাল-বিল ও নদী নালায় মাছ ধরা শুরু করে।
মাছ ধরার জন্য তারা ব্যবহার করে জাল, ভেসাল, পলো, বরশি, কোঁচ, টেটা, যুতি এর মধ্যে চাঁই অন্যতম। আর সেই চাঁই তৈরী করে স্বচ্ছল হয়েছেন অর্ধঃশতাধিক পরিবার।
সারা বছর জুরে গ্রামের ১০ বছর বয়সের শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বনিতা সকলে মিলে চাঁই বুনছে। কেউ বাঁশ কাটছে, কেউ শলা তুলছে, কেউ শলা চাঁছছে আবার কেউবা ব্যস্ত হয়ে পরেছে চাঁই বুনা ও বাধাঁর কাজে।
ঘরের বারান্দায়, উঠানে, গাছের ছাঁয়ায় যে যেখানে পারছে সেখানে বসেই করছে চাঁই বানানোর কাজ।নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করার উপায় থাকবেনা গ্রামের মানুষ কতটা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে তাদের এই উপার্জনের প্রধান কাজটি করে। প্রায় চার দশক ধরে এই গ্রামে চাঁই বানানোর কাজ চললেও ব্যাপক ভাবে শুরু হয়েছে ১২/১৫ বছর যাবৎ।
শ্রী নারায়ান চন্দ জানান,আমার চারটি সন্তান,বড় ছেলেকে আইয়ে পাশ করার পর তাকে কুয়েত পাঠিয়েছি,বাকি তিন ছেলে আমার সাথে কাজ করে,সন্তাদের নিয়ে আমরা ভালমত আছি।প্রতিমাসে সংসার এর খরচ করে দশ/বার হাজার টাকা আয় থাকে। আগের বছরের তুলনায় এবছর আমাদের চাইঁ তেমন বেচাকিনা হচ্ছেনা…নদীর পানি বিষাক্ত হওয়ার কারনে মাছ শূন্য হয়ে গেছে।
ক্রাইম ভিশন
Leave a Reply