ওয়ান্ডার্স ক্লাবের ফুটবলার জাকির এখন জনপ্রতিনিধি

মোজাম্মেল হোসেন সজল: ঢাকা ওয়ান্ডার্স ক্লাবের ফুটবলার এইচ এম জাকির হোসেন এখন জনপ্রতিনিধি। তিনি গত ৭ই মে চতুর্থধাপের ইউপি নির্বাচনে জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার কাঠাদিয়া শিমুলিয়া ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মেম্বার পদে জয়লাভ করেছেন। শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিরতণ ও মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় তার এ জয় বলে ফুটবলার এইচ এম জাকির হোসেন জানিয়েছেন। তিনি কে শিমুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি টঙ্গীবাড়ী উপজেলার পশ্চিম আলদী গ্রামের ব্যবসায়ী আবদুল মান্নান হালদারের ছেলে।

জাকির হোসেন খেলার জগতে আসেন ২০০৪ সালে। ২০০৪-২০০৫ ইং সালে তিনি টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় প্রথম এসপি কাপ খেলেন। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০০৫-২০০৬ সালে তিনি জেলা পর্যায়ের দলে খেলেন। একই বছর চট্রগ্রাম আবাহনী জুনিয়র ক্লাবে খেলেন। এরপর ২০০৬-২০০৭ সালে শান্তি নগর ক্লাবে সেকেন্ড ডিভিশনে, ২০০৭-২০০৮ সালে দিপালী যুব সংঘে প্রথম বিভাগে, ২০০৯-২০১০ সালে সানরাইজ স্পোটিং ক্লাবে, ২০১১ সালে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রে খেলেন।

এখানে প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলার সময় তার পা ভেঙ্গে গেলে খেলা থেকে দুই বছর বিরত থাকেন। ২০১৪ সালে ঢাকা ওয়ান্ডার্স ক্লাবে, ২০১৫ সালে ফকিরেরপুল ইয়াং ম্যান্স ক্লাবে খেলেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা ওয়ান্ডার্স ক্লাবে খেলছেন। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ চট্রগ্রাম ভয়েজ ক্লাবের হয়ে তিনি নেপাল ও ২০১৫ সালে ফকিরেরপুল ইয়াং ম্যান্স ক্লাবের হয়ে ভারতে খেলেন।

ফুটবলার এইচ এম জাকির হোসেন বলেন, ছোট বেলা থেকে মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আসছি। এলাকায় “উদ্ভাস সমাজ উন্নয়ন সংস্থা”নামে তাদের একটি সামাজিক সংগঠন রয়েছে। এ সংগঠনের তিনি যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক। এ সংগঠনের ব্যানারে মাদক বিরোধী ও সমাজসেবামূলক কাজ করা হচ্ছে। তার এ খেলার জগতে আসার একমাত্র অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতা করেছেন সাংবাদিক, অ্যাডভোকেট আবুসাইদ সোহান।

তিনি বলেন, সোহান ভাইয়ের কারণেই খেলার জগতে আসতে পেরেছি, নতুবা এলাকার কোন দোকানদার বা ব্যবসায়ী হতাম। উদ্ভাস সমাজ উন্নয়ন সংস্থা সংগঠনের মাধ্যমে এলাকার দরিদ্রদের মাঝে সেলাই মেশিন, বিনামূল্যে বই বিতরণ, খাতা,কলমসহ শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছি। এলাকার মাধ্যমিক পর্যায়ের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ার খরচের যোগান দেয়া হচ্ছে।

ফুটবলার জাকির হোসেন বলেন, আমার নির্বাচনী ইশতেহার ছিলো “নেশাকে না বলুন, শিখাকে হ্যাঁ বলুন। নির্বাচনের সময় নির্বাচনী ব্যয়ের টাকা দিয়ে ওয়ার্ডের দরিদ্র শিশু শিক্ষার্থীদের ঘরে ঘরে কলম ও আদর্শলিপি বিতরণ করেছি। আর এ কারণেই জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, মাদকরোধী অভিযান ওয়ার্ড থেকে এখন ইউনিয়নব্যাপী করা হবে। এরজন্য নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. নূর হোসেন বেপারীর সহযোগিতা নেয়া হবে। উদ্ভাস সমাজ উন্নয়ন সংস্থাকে ধীরে ধীরে আরও শক্তিশালী করা হবে।

নিউজ৬৯

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.