মোজাম্মেল হোসেন সজল: মুন্সীগঞ্জের ছয় উপজেলায় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার অভিবাসী শ্রমিকের হাট বসেছে। চলতি আলু আবাদের মৌসুমকে সামনে রেখে তারা প্রতিদিনই আসছে মুন্সীগঞ্জে। মুন্সীগঞ্জের আলু চাষীদের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের শ্রমিকেরা চুক্তি নিয়ে আলুর আবাদ করছেন। জমিতে মহাজনের আলু রোপনের পরই আবার ফিরে যাবেন নিজ নিজ জেলায়, আসবেন উত্তোলনের সময়।
ইতোমধ্যে মুন্সীগঞ্জের জমিগুলোতে প্রায় ১০-১২ হাজার শ্রমিকের আগমন ঘটেছে। মুন্সীগঞ্জের অধিকাংশ কৃষক পরিবারের সদস্য বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা ও প্রবাসে থাকায় প্রতিবছরই এই জেলায় শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। এতে করে জেলার আলু চাষীদের বাইরের জেলা থেকে শ্রমিক সংগ্রহ করে আলুর আবাদ করতে হয়।
মুন্সীগঞ্জের প্রধান অর্থকরী ফসল আলু। প্রতি বছর রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে শত শত শ্রমিক মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে আলু রোপন করতে আসেন। তারা ১০-১২ জন করে খন্ড খন্ডভাবে মুন্সীগঞ্জের কৃষকের আলুর জমিতে আলু রোপন করার চুক্তি নেয়।
এই বছর এককানি (১৪০ শতাংশ) জমিতে আলু রোপন বাবদ তারা মুন্সীগঞ্জের কৃষকের কাছ থেকে ১৮-২৫ হাজার টাকার চুক্তি নিচ্ছেন। মুন্সীগঞ্জে আসার আগেই আলুচাষীদের কাছ থেকে উত্তরবঙ্গের শ্রমিকরা অগ্রিম টাকা নিয়ে এসেছেন। আলু রোপনের পরই তারা ফিরে যাবেন, আবার আসবেন উত্তোলনের সময়। সেই সময় থাকবে তাদের পরিবারের নারী সদস্যরাও।
এদিকে, চুক্তি নিয়ে কাজ করায় অলস সময় নেই তাদের। একজনের কাজ শেষ হলেই আবার শুরু করবেন আরেকজনেরটা। তাই জমিতেই চলে তাদের খানাপিনা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর জানান, উত্তরবঙ্গ থেকে কম করে হলেও ২০ হাজার শ্রমিকের হাট বসে মুন্সীগঞ্জে। আলু রোপন ও উত্তোলন দু’টিই চুক্তি নিয়ে করে থাকেন উত্তরবঙ্গের শ্রমিকেরা।
এদিকে, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই বছর জেলায় গতবারের সমান ৩৯ হাজার ৩শ’ হেক্টর জমিতে আলু রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই পর্যন্ত আলুর আবাদ হয়েছে মাত্র চারভাগের একভাগ।
পিবিডি নিউজ
Leave a Reply