মোজাফফর হোসেন: মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় করোনার কারনে যানবাহন সংকট অন্য দিকে হঠাৎ বৃষ্টিতে জমির মধ্যে পানি জমতে শুরু করায় জমির মধ্যে স্তুপ করে রাখা আলু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। বৃহস্পতিবার রাতে মুষল ধারে ও শুক্রবার বিকাল হতে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে জমির মধ্যে পানি জমতে শুরু করেছে।
এ বছর আলু উত্তোলনের শুরু হতে করোণার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় পরিবহন সংকটের কারনে ক্রেতা কম থাকায় আলু বিক্রি করতে পারছিলোনা কৃষক। আলুর বাজার মূল্য মোটা মুটি ভালো থাকলেও পরিবহন সংকটের কারনে ক্রেতা কম থাকায় কৃষক অনেক আলু জমিতে স্তুপ করে রেখেছিলো। সরেজমিনে উপজেলার মান্দ্রা, চাঠাতিপাড়া, পাঁচগাও, কাইচমালধা, মটুকপুর, ভিটিমালধা, বালিগাও, বেতকা, ধীপুরএলাকায় ঘুরে দেখা যায় কৃষক প্রচুর পরিমান আলু জমির মধ্যে স্তুপ করে রেখেছেন। আলু চাষি ও ব্যাবসায়ী উপজেলার মান্দ্রা গ্রমের শাহিন সেখ জানান, এ বছর আলু উৎপাদনের শুরু থেকে করোনার প্রাদুর্ভাব হওয়ায় আমরা আলু বিক্রি করতে পারছিলামনা।
আগে এক ট্রাক আলু সিলেটে পাঠাতে ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকা লাগলেও এখন এক ট্রাক আলু পাঠাতে ৩২-৩৫ হাজার টাকা লাগছে। এছাড়া গাড়িও সব সময় পাওয়া যায়না তাই আলু জমির মধ্যে স্তুপ করে রেখেছিলাম। কিন্তু বর্তমানে যেভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে জমি থেকে আলু নানিলে বৃষ্টিতে তলিয়ে আলু নষ্ট হয়ে যাবে। টঙ্গীবাড়ী কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, এ বছর উপজেলায় এ মৌসুমে আলুর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল দশ হাজার ১০ হেক্টর। কিন্তু এ বছর নয় হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সামান্য কিছু কম জমিতেআলু চাষ করা হলেও আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন ভালো হয়েছে।
টঙ্গীবাড়ী উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ বছর উপজেলায় সাড়ে ৩ লক্ষ মেট্রিকটন আলু উৎপাদিত হয়েছে। এ সমস্ত আলু উপজেলার ২৯টি হিমাগার, কৃষকের বাড়ি ও আলু জমির মধ্যে স্তুপ করে রাখা হয়েছে এবং কিছু আলু বিক্রিও করা হয়েছে।
Leave a Reply