মোঃ জাফর মিয়া: করোনা উপসর্গ সন্দেহে মুন্সীগঞ্জের ছয় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নতুন ২১ জনসহ এ পর্যন্ত ৭৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে , গত শনি ও রবিবার পাঠানো প্রথম ১৮ জনের সোয়াবে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ।
বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সকালে করোনা সন্দেহে নতুন ২১ জনের সোয়াব সংগ্রহ করার পর পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত পাঁচদিনে ৫৩ জনের সোয়াব পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তবে, গত শনি ও রবিবারে পাঠানো ১৮ জনের সোয়াব পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেলেও গত সোম, মঙ্গলবার ও বুধবার পাঠানো ৩৫ জনের সোয়াব পরীক্ষার রিপোর্ট আইইডিসিআরে পক্ষ থেকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
নমুনা সংগ্রহের মধ্যে সদর উপজেলায় ১২, টংগিবাড়ী উপজেলায় ১২ , সিরাজদিখান উপজেলায় ১৬ লৌহজং উপজেলায় ১৫ , গজারিয়া উপজেলায় ১০, শ্রীনগর উপজেলায় ৯ জন করে রয়েছে। সোয়াব পরীক্ষার পর যাদের করোনা পাওয়া যায়নি তাদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৩ টংগিবাড়ী উপজেলায় ৪ সিরাজদিখান উপজেলায় ৪ লৌহজং উপজেলায় ২,গজারিয়া উপজেলায় ৩ , শ্রীনগর উপজেলায় ৩ জন করে রয়েছে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, ‘করোনা ভাইরাসের উপসর্গ জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট রয়েছে এমন ৭৪ জনের সোয়াব সংগ্রহ করার পর ডব্লিউএইচও এর নির্ধারিত গাড়ির মাধ্যমে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত সবগুলো নমুনার ফলাফল পাওয়া যায়নি।’ ‘যেগুলোর ফলাফল পাওয়া গেছে তার মধ্যে এখন পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জে কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি।’
তবে, আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা পজিটিভ হলে মুঠোফোনের মাধ্যমে সাথে সাথে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া পরীক্ষা রিপোর্টের জন্য ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি আরও জানান, জেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের প্রশিক্ষণপাপ্ত ১২জন কর্মী পিপিই ব্যবহার করে নিজেদের সুরক্ষায় রেখে সোয়াব সংগ্রহ করছেন। অন্যদিকে, জেলার ছয় উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫৭ জন এবং হোম কোয়ারেন্টাইন সম্পন্ন করেছেন ৬৯০ জন।
খোজ২৪বিডি
Leave a Reply