মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসা একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারসহ সাতটি পরিবারকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে। সোমবার উপজেলার নাগেরহাট গ্রামে এক ব্যক্তি করোনা সনাক্ত হবার পর উপজেলা প্রশাসন হতে এ ব্যবস্থ্য নেওয়া হয়। এছাড়া সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নাগেরহাট কমিউনিটি ক্লিনিক।
লৌহজং উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মো. কাবিরুল ইসলাম খান গ্রামটি ঘুরে এসে জানান, কয়েকদিন আগে নারায়নগঞ্জ থেকে পালিয়ে আসা এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত বলে সোমবার আইইডিসিআরের রিপোর্ট থেকে জানতে পারি। পরে গ্রামটিতে গিয়ে ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ছয়টি পরিবারকে বাড়িতেই আইসোলিশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসায় ওই গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকের একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ও তার পরিবারকেও আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে। অন্য কোন ডাক্তার না থাকায় আপতত সাময়িকভাবে ওই গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। করোনা সনাক্ত রোগীকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গতকাল পর্যন্ত লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে মোট ২৪ জন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরের ট্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ১৯ টি রিপোর্টের মধ্যে গত ১১ এপ্রিল পাঠানো নাগের হাটের এক ব্যক্তি করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। বাকী ১৮ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। ৫ জনের রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি।
কালের কন্ঠ
Leave a Reply