নাসির উদ্দিন: মুন্সীগঞ্জে গত চারদিন ধরে সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট আসছে ! বিস্ময়কর হচ্ছে গত ১৯ এপ্রিল প্রেরণ করা সবগুলো সোয়াব রিপোর্ট আজ অবদি আসেনি। প্রায় এক সপ্তাহ আগের রিপোর্ট পেন্ডিং থাকায় রোগীদের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়াও যাচ্ছে না। সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী ১৯ এপ্রিলের ৩টি, ২০ এপ্রিলের ৩টি, ২১ এপ্রিলের ৪৮টি, ২২ এপ্রিলের ৪৪টি , ২৩ এপ্রিলের ২২টি , ২৪ এপ্রিলের ৩৬টি এবং ২৫ এপ্রিল পাঠানো ৩৬টি রিপোর্ট পেন্ডিং রয়েছে। আইইডিসিআর পাঠানো সোয়াবগুলোর রিপোর্ট জানায়নি ।
মুন্সীগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ সভ্যতার আলোকে জানান, গত চার দিন ধরে রিপোর্ট একবারেই জানানোই হচ্ছে না। তাই নানা রকম সমস্যা হচ্ছে। রোগীও টেনশনে আছে। যাতের পজেটিভ নেই, তারাও শঙ্কামুক্ত হতে পারছেন না। আর যাদের পেজেটিভ তাদেরও চিকিৎসা দেয়া বা আইসোলেশনে আনা কিংবা বাড়ি লকডািইন বা অন্যান্য ব্যবস্থা নেয়া চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে। তিনি জানান, শনিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত কোন রিপোর্টই পাঠানো হয়নি। একই অবস্থা শুক্রবারেরও। ছুটির দিনও অফিসের লোকজন দিনভর রিপোর্ট এর জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকে। কিন্তু খবর নেই। অন্যান্য দিন অল্প কিছু রিপোর্ট আসেলেও এই দুই দিন একেবারেই নেই।
এপর্যন্ত মুন্সীগঞ্জ থেকে পাঠানো ৫৫৬টি সোয়াবের মধ্যে রিপোর্ট পাঠিয়েছে ৩৬৪টি। আরও ১৯২ রিপোর্টের খবর নেই।
সিভিল সার্জন জানান, আরও বিব্রতকর হচ্ছে আমাদের রিপোর্ট পাঠানো হলো এক রকম আর আইইডিসিআর এর ওয়েব সাইডে তথ্য দেয়া হচ্ছেে আরেক রকম। লোকজনকে আমরা এর উত্তর দিতে পরছি না। আইইডিসিআর-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও এর কোন জবাব দিতে পারছেন না।
মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৮ জনের। আর আইইডিসিআর’র অফিসিয়াল ওয়েব সাইডে আছে মুন্সীগঞ্জ জেলায় আক্রান্ত ৬৩ জন । রির্পোট প্রেরণ না করে আইইডিসিআরে ফেলে রাখায় বাকী এই পাঁচজনকে শানাক্ত করা যাচ্ছে না। যা করোনা মোকাবেলা ক্ষেত্রে বাঁধার সৃষ্টি করা হচ্ছে। এতে মুন্সীগঞ্জের সাধারণ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
সভ্যতার আলো
Leave a Reply