নাছির উদ্দিন: মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সবাই যখন আপন নীড়ে। ঠিক তখনি প্রকৃতি সাজতে শুরু করেছে তার আপন সাজে। মাখতে শুরু করেছে নানা রঙ। গ্রীষ্মের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ফুলটির নাম কৃষ্ণচূড়া। প্রতিবারের মতো বৈশাখের শুরুতেই ফুটতে শুরু করেছিল বিভিন্ন এলাকায়। এখনো সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখে মেলে কৃষ্ণচূড়া ফুলের। ইচ্ছে থাকলেও প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্য্যে উপভোগ করার সাদ্য যেন কারোরই নেই। করোনার প্রাদুর্ভাবের ফলে একজন অন্যজনের মুখ দেখা থেকেও যেন বঞ্চিত। প্রকৃতির এমন সাজ মানুষের মনকে রাঙানোর সৌভাগ্য হারিয়েছে। তবুও গাছে গাছে ফুটছে কৃষ্ণচুড়া ফুল।
সারাবছর কৃষ্ণচূড়ার গাছগুলো তেমন চোখে না পরলেও বৈশাখ মাসে লাল ও হলুদ টুকটুকে ফুল ফুটতেই বদলে যায় প্রকৃতির দৃশ্যপট। বড়ষড় গাছে বিস্তৃর্ণ ডালপালা গুলোয় ফুলে ফুলে ছেয়ে যায়। যা দেখে মন যতই খারাপ থাকুক না কেন ভালো না হয়ে যেন উপায় নেই। চার দেয়ালের ভেতর থেকে থেকে জীবনের রঙ কেমন যেন চুপশে গেছে। বর্তমানে সিরাজদিখান উপজেলার অধিকাংশ সড়কের দুই ধারে, বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদ্রাসার পাশে, পুরনো ভবনের পাশে ফুলে ফুলে ছেয়ে আছে কৃষ্ণচূড়া।
গত কয়েকদিন কোলা ভিলেজ পার্ক, পশ্চিম কোলা মাদ্রাসা, ছাতিয়ানতলী উচ্চ বিদ্যালয়, উপজেলা ভূমি অফিসসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে মনে হয়েছে, এ গ্রাম যেনো কৃষ্ণচূড়ার। শনিবার ও রবিবার কয়েক দফা বৃষ্টি হয়েছে। দমকা হাওয়াও ছিল। হয়তো তাই কিছু ফুল নিচে পড়েছিল। কিন্তু দেখার বা কুড়োনোর লোক নেই!
Leave a Reply