মো. মাসুদ খান: শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌ-রুটে মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের ঢল নামে। এতে শুধু গার্মেন্টকর্মীই নয়, বরং নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ছিল। সরকার দোকানপাট খুলে দেবার সিন্ধান্ত দেওয়ায় এখন লোকজন কর্মস্থলমুখী হতে শুরু করেছে বলে এ নৌ-রুটে এখন যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।
মঙ্গলবার সরজমিনে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, যখনই ওপার (কাঠালবাড়ি) থেকে কোনো ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে আসছে, ওই ফেরিতে কয়েকটা গাড়ির সাথে শত শত লোক ঢাকায় যেতে শিমুলিয়া ঘাটে আসছে। তবে আজ আর শুধু গার্মেন্টকর্মী নয়, বরং সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকেই আসতে দেখা গেছে। তবে শিমুলিয়া ঘাটে এসে কোনো প্রকার যাত্রীবাহী বাস না পাওয়ায় তারা বরাবরের মতোই নসিমন, করিমন, অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যান, মোটরসাইকেল, ইয়েলো ক্যাব, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহনে ভেঙে ভেঙে বিকল্পপথে ঢাকায় যাচ্ছে। এতে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া খরচ হচ্ছে।
মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাাঁড়ি ইনচার্জ পরিদর্শক সিরাজুল কবির জানান, আজ সকাল থেকে শত শত ঢাকামুখী যাত্রী ফেরি পার হয়ে শিমুলিয়া ঘাটে এসে গন্তব্যে যাচ্ছে। তবে আজ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঢাকায় যেতে দেখা গেছে। শুধু গার্মেন্টকর্মীই নয়, মার্কেটের দারোয়ান, দোকানের কর্মচারী, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক, চাকরিজীবিসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকেই ঢাকায় ছুটতে দেখা গেছে। সম্ভবত সরকার মার্কেট খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় এখন মানুষজন ঢাকামুখী হতে শুরু করেছে।
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটস্থ এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌ-রুটে এখন দিনের বেলায় ৩টি ও রাতে ৬টি ফেরি চলাচল করছে। জরুরি গাড়ি পারাপারের জন্য এ সকল ফেরি চলাচল সচল রাখা হয়েছে। তবে রাতের বেলায় পণ্যবাহী ট্রাকগুলো পারাপারের জন্য একটু বেশিসংখ্যক ফেরি রাখা হয়েছে। অন্যসব নৌযান বন্ধ থাকায় এখন এসব ফেরিতে শত শত ঢাকামুখী যাত্রী পার হচ্ছে।
কালের কন্ঠ
Leave a Reply