সিরাজদিখানে মো. আতাউর রহমান নামে এক ব্যক্তি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অন্ধ যুবতীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই যুবতী উপজেলার কোলা ইউনিয়নের নন্দনকোনা গ্রামের বাসিন্দা। গত প্রায় ছয় মাস পূর্ব হইতে ধর্ষিতার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ের প্রলোভনে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিক বার জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। অভিযুক্ত মো. আতাউর রহমান উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের নিমতলী গ্রামের মৃত মোহাব্বত আলী দেওয়ানের (বোয়ালদীর) ছেলে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় ধর্ষিতার বাবা বাদি হয়ে মো. আতাউর রহমান ও সহযোগী চম্পা বেগমকে আসামি করে সিরাজদিখান থানায় ধর্ষণ মামলার অভিযোগ দায়ের করে। তবে পুলিশ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত আতাউর রামান ও চম্পা বেগমকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
সূত্রে জানা গেছে, উত্তর নন্দনকোনা গ্রামের মো. লাল মিয়ার স্ত্রী চম্পার সাথে ধর্ষক মো. আতাউর রহমানের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। চম্পা বেগমের সহযোগীতায় ধর্ষিতা অন্ধ যুবতীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চম্পার বসত ঘরে নিয়া ওই যুবতীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিক বার জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
ধর্ষিতার মা বলেন, সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল রাতে আবারোও জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। গত সোমবার আবারো ধর্ষনের সহযোগী চম্পা বেগম আমার অন্ধ মেয়েকে সকাল সারে ৯টায় আমার বাড়ি থেকে ডেকে আনতে গেলে পরবর্তীতে উল্লেখিত ঘটনার সম্পূর্ন বিষয়টি আমার মেয়ে আমাদেরকে জানালে আমি বিষয়টি আমার স্বামী ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে জানালে তারা আমাকে থানায় অভিযোগ ও মামলা করতে বলেন।
সিরাজদিখান থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, উপজেলার কোলা ইউনিয়নের নন্দনকোনা গ্রামের অন্ধ মেয়েটির সাথে একই এলাকার পঞ্চাশউদ্ধো এক ব্যক্তির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অভিযুক্ত ব্যক্তি বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘদিন ধরে ওই অন্ধ যুবতীর সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে আসছিল। মেয়েটি বাড়িতে গত সোমবার তার বাবা মাকে বিষয়টি জানালে তার বাবা বাদি হয়ে দুইজনকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলার প্রকৃক্রিয়াধিন রয়েছে।
নিউজজি/
Leave a Reply