মুন্সীগঞ্জে গরুর সঙ্গে শুয়ে-বসে বিক্রেতাদের সময় পার

বছরখানেক আগে ৮০ হাজার টাকায় দুটি গরু কেনেন আব্দুর জব্বার দেওয়ান। প্রতিদিন দুটি গরুর খাওয়ানো বাবদ খরচ হয়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। দুই দিন আগে সেই গরু দুটি নিয়ে সে সিরাজগঞ্জ থেকে মুক্তারপুর হাটে এসেছেন। তার স্বপ্ন, এক লাখ টাকা করে দুটি গরু তিনি বেচবেন দুই লাখ টাকায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ক্রেতায়ই দরদাম করেনি। এমন চিত্র দেখে হতবাক জব্বার।

রবিবার মুক্তারপুর ব্রিজের নিচে পশুর হাটে দেখা গেল, সিরাজগঞ্জের সাহাজাদপুর থেকে ২০টি গরু নিয়ে আসা সমসের ব্যাপারি। তিনি তার সাথে আসা সঙ্গিদের নিয়ে তাস খেলছেন। ক্রেতার আনাগোনা নেই। তাই সময় কাটাতেই খেলার আয়োজন।

মুক্তারপুর পশুর হাটে ইতোমধ্যে গরুসহ অন্যান্য পশু আসতে শুরু করেছে। পশুর হাটের প্রায় ৭০ ভাগ স্থান গরুতে ভর্তি হয়ে গেছে। কিছু ক্রেতা আসছেন। দামদর করছেন। তবে বেচাকেনা এখন পর্যন্ত শুরু হয়নি। সমসের ও জব্বারের মতো গরু বিক্রেতাদের অনেককেই এখন অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। গল্প করে, তাস খেলে, কেউ শুয়ে-বসে।

মুক্তারপুর হাটে গরু নিয়ে আসা বিক্রেতাদের ধারণা, বাজার জমতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। মঙ্গল-বুধবার থেকে পুরোদমে কেনাবেচা শুরু হবে। তারা আশা করছেন, শেষ সময় মানুষ গরু কেনার জন্য হাটেই আসবেন।

এই হাটে গরু নিয়ে আসা সিরাজগঞ্জের জহিরুল ইসলাম বলেন, ৪০টি গরু নিয়ে এ হাটে এসেছি ভালো দাম পাওয়ার আসায়। গত দুইদিন যাবত এখানে অলস সময় পার করছি কিন্ত কোনো ক্রেতার দেখা এখনো মিলেনি।

তিনি আরো বলেন, গরু দেখাশুনা করার জন্য ১৭ জন শ্রমিক আমার সঙ্গে এসেছেন। প্রতিদিন তাদের পিছনে ১৫০ টাকা করে খরচ হচ্ছে। এখন গরু বিক্রি করতে পারবো কিনা সেই অনিশ্চতায় ভুগছি।

শুক্কুর ব্যাপারী নামের এক ব্যবসায়ী ১৬টি গরু নিয়ে এসেছেন। তার মনেও বড় ভয়। শেষ সময়ও যদি ক্রেতা না আসে, তাহলে পথে বসে যাবেন তিনি।

দৈনিক অধিকার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.