রিয়াদ হোসাইন: মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় মো. শাহ আলম (২৩) নামে এক যুবকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার টেঙ্গারচর ইউনিয়নের বৈদ্যেরগাও গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত যুবকের মা, বোনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত শাহ আলম টেঙ্গারচর ইউনিয়নের বৈদ্যেরগাও গ্রামের প্রয়াত নজরুল ইসলামের ছেলে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, নিহত শাহ আলমের মা হালিমা বেগম (৪৫) বোন নার্গিস আক্তার (২১) এবং নার্গিসের স্বামী মো. সবুজ মিয়া (২৮)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গত শুক্রবার রাত সাড়ে তিন টার দিকে শাহ আলমের বোন নার্গিস ও তার পরিবারের লোকজন ডাক-চিৎকার করছিল। এ সময় এলাকার লোকজন তাদের বাড়ি গেলে শাহ আলমের ঘরে তার রক্তাক্ত লাশ পরে থাকতে দেখে। পরে স্থানীয়রা গজারিয়া থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ শনিবার সকাল ৮ টার দিকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রইছ উদ্দিন শনিবার সন্ধ্যায় প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, নিহতের লাশ উদ্ধারের পর, তার মা,বোন,ভাই ও বোন জামাইসহ পরিবারের ৪ সদস্যকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। এ সময় ওই পরিবারের সদস্যরা জানায় নিহত শাহ আলম মাদকসেবীর ছিলেন। শাহ আলম নিজেই নিজের শরীরকে রক্তাক্ত করে আত্মহত্যা করেছে। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হয়। এ সময় আমরা তাদেরকে গভীরভাবে জিজ্ঞেসা বাদ শুরু করি।
একপর্যায়ে নিহত শাহ আলমের ভাই মো. সাদেক সিকদার জানান, তার মা হালিমা বেগমের স্বভাব চরিত্র ভাল ছিলো না। এ জন্য তার ভাই শাহ আলম এবং সে তার মাকে ভালোভাবে চলাফেরা করার পরামর্শ দেয়। তবে তার মা এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং আমাদের দুই ভাইকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এছাড়াও তার বোন নার্গিস এবং তার বোন জামাই সবুজ আমাদের বাড়িতেই থাকতো। শাহ আলম বোন ও বোন জামাইকে এ বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলে। এতে করে তারাও ক্ষিপ্ত হয়।
শুক্রবার রাত এগারোটার দিকে মা, বোন এবং বোনের স্বামী শাহ আলমকে হত্যা করে। শাহ আলমকে রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে এটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রইছ উদ্দিন শনিবার রাতে জানান, নিহত শাহ আলমের ভাই সাদেক সিকদার বাদী হয়ে মা, বোনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। আসামিরা পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।
দৈনিক অধিকার
Leave a Reply