১২ মাসের শিশু আরিফাকে নারায়ণগঞ্জ জেলার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলন বীথি (২৫) ও তার মা পাকিজা বেগম।
রোববার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবে যাওয়া সাবিত আল হাসান লঞ্চের যাত্রী ছিলেন তারা। লঞ্চডুবির ঘটনায় তারা তিনজন নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বীথির শাশুড়ি মিনু বেগম।
রাত ১২টা পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে আপেক্ষা করছেন মিনু বেগম ও তার বড় ছেলের স্ত্রী রেশমি বেগম। মাঝেমধ্যে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তারা। মিনু বেগম সদর উপজেলার খাসকান্দি রমজানবেগ এলাকার কাজী মিলন বেপারীর স্ত্রী।
মিনু বেগম জানান, তার নাতনি আরিফার সমস্ত শরীরে এলার্জি উঠেছে। এজন্য রোববার বিকেলে পুত্রবধূ বীথি ও তার মা পাকিজা বেগম আরিফাকে ডাক্তার দেখাতে নারায়ণগঞ্জের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান। বাড়ি ফেরার পথে তাদের লঞ্চ ডুবে যায়। লঞ্চ ডুবে যাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে বিথী মোবাইলে ফোন দিয়ে জানান লঞ্চে করে আসতেছে। এরপর থেকে তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তার ছেলে আরিফ স্ত্রী-সন্তান ও শাশুড়ির খোঁজে যেখানে লঞ্চ ডুবেছে সেখানে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত তাদের খোঁজ পায়নি।
ব.ম শামীম/ঢাকা পোষ্ট
Leave a Reply