মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার জৈনসার ইউনিয়ন ভুমি অফিসের অফিস সহায়ক (পিয়ন) মো. মিজানের বিরুদ্ধে নানা দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে! স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জৈনসার ইউনিয়ন ভূমি খফিসে জমি নামজারিতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন অফিস সহায়ক (পিয়ন) মো. মিজান।
এছাড়া সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে কোন কাগজ তল্লাসির জন্য হাজার টাকা নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী বৃদ্ধ জানান, একটি নাম জারির ব্যাপরে ভুমি অফিসে এসেছিলাম। এখানে আসার পর নায়েব সাহেবের সহকারী পিয়ন আমার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবী করেন। আমি তাকে ১২ হাজার টাকা দেই। তবুও সে আমার কাজ না করে আজ কাল করে ঘুরাচ্ছেন।
পরে আমি তাকে আরও ৬ হাজার টাকা দেই। কিন্ত এখনও নামজারির কাগজ পাই নাই।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরোও এক ভুক্তভোগী নারী বলেন, এখানে টাকা ছাড়া কোন কাজ হয় না। আমি একটা কাগজ তল্লাশির জন্য এসেছি। আমার কাছ থেকে ১ হাজার টাকা নিয়েছে কিন্তু আজ তিন-চার সপ্তাহ পার হলেও কাগজ পাই নাই।
এ ব্যাপারে জৈনসার ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মো. মিজান বলেন, আমি একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমার কাজ করতে হয়। এ ব্যাপারে জৈনসার ভূমি অফিসের নায়েব মো. আশিকুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায় নি।
এ ব্যাপারে সিরাজদিখান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহমেদ সাব্বির সাজ্জাদ জানান, আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বা আমার কাছে যদি কেউ লিখিত অভিযোগ করেন তাহলে আমি অবশ্যই ব্যাবস্থা গ্রহন করবো। আমি থাকাকালীন কোন অনিয়ম বা দুর্ণীতি করতে দিবো না।
পিপলস নিউজ
Leave a Reply