টোকিও সহ ৪টি প্রিফেকচারে ৩য় বারের মতো জরুরী অবস্থা ঘোষণা ।

রাহমান মনি: জাপান সরকার কোভিড-১৯’এর সংক্রমণ বেড়ে চলার মাঝে রাজধানী টোকিও সহ চারটি প্রিফেকচার-এ ৩য় বারের মতো জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা। অন্যান্য প্রদেশ গুলি হচ্ছে ওসাকা, হিয়োগো এবং কিয়োটো। ২৫ এপ্রিল রোববার থেকে এই জরুরী অবস্থা কার্যকর শুরু হবে এবং ১১ মে মঙ্গলবার ’২১ পর্যন্ত বহাল থাকবে।

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা (কোভিড ১৯) মহামারির রেশ জাপানে চতুর্থবারের মতো বিস্তারলাভের প্রেক্ষাপটে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে আজ ২৩ এপ্রিল শুক্রবার রাতে নিজ কার্যালয়ে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে সুগা এই ঘোষণা দেন । দুই সপ্তাহেরও অধিক সময় এই জরুরী অবস্থা বলবত থাকবে।

করোনার ৪র্থ ঢেউ আক্রান্তের দিক থেকে রাজধানী টোকিওকে ছাড়িয়ে গেছে বানিজ্যিক রাজধানী খ্যাত ওসাকা। ওসাকার পার্শ্ববর্তী প্রিফেকচার হচ্ছে হিয়োগো এবং কিয়োটো।

মিয়াগি, এহিমে এবং অকিনাওয়া এই ৩টি প্রিফেকচার জরুরি অবস্থা জারি না থাকলেও কঠোর করোনাভাইরাস রোধী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারা এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করার সিদ্ধান্তও নেয়। কঠোর পদক্ষেপসমূহ ইতোমধ্যেই সাইতামা, চিবা, কানাগাওয়া, মিয়াগি, অকিনাওয়া এবং আইচি, প্রিফেকচার সহ ১০টি জেলায় বলবৎ ছিল।

ঘোষণায় রেস্তোরা গুলো রাত আটটার মধ্যে বন্ধ করা এবং কারাওকে ও এলকোহল সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও স্পোর্টস, বিনোদনের জন্য যেকোন ধরনের ইভেন্ট বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ জানানো সহ বারবার হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার করা এবং অপ্রয়োজনে বাহির না হয়ে ঘরে থাকার জন্য জনগনের প্রতি অনুরোধ জানান সুগা।

তিনি বলেন, প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় জাপান স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। তবে, অহেতুক বাহিরে সময় দেয়া, জনসংযোগ করা, অহেতুক ভীর সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন।

সুগা বলেন, ‘গোল্ডেন উইক’ এ সপ্তাহ ব্যাপী ছুটিতে সবাইকে ঘরে থাকার জন্য আমি উদাত্ত আহবান জানাই।

উল্লেখ্য, জাপানের সংসদ গত ১২ মার্চ ‘২০ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীকে সীমিত সময়ের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণার অনুমতি দিয়ে একটি বিল প্রধান সব কটি দলের সমর্থন নিয়ে অনুমোদন করেছিল। প্রধান বিরোধী দলসহ বিরোধী শিবিরের আরও বেশ কয়েকটি দল দেশের সার্বিক বিবেচনায় বিলটি সমর্থন করেছে।

আজ টোকিওতে একই সময় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫৯ জন। অপরদিকে ওসাকাতে আক্রান্ত সনাক্ত করা হয়েছে ১,১৬২ জন।

জাপানব্যাপী এপর্যন্ত আক্রান্তে সনাক্ত ৫,৫৩৮,৫২৬ এবং মৃত ৯,৮১১ জন।

rahmanmoni@gmail.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.