মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে পুলিশ পরিচয়ে মোবাইল দোকানে চাঁদাবাজির সময় স্থানীয়রা আটক করে থানা পুলিশকে খবর দিলে ভূয়া পুলিশ সনাক্ত হওয়ায় সুমন (৩৮) নামক ব্যাক্তিকে মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরন করার পর আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরনের আদেশ দিয়েছে। নিজেকে শ্রীনগর থানার এস.আই মিজান পরিচয়ে ২৩মে রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার বীরতারা চান্দেরটেকে প্রতারনা করার সময় সুমন গ্রেফতার হয়।
জেলার সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়নের রক্ষিতপাড়া গ্রামের লালচাঁন শেখের ছেলে শেখ সাহাবুদ্দিন (৩০) জানায়, শ্রীনগর উপজেলার বীরতারা চান্দেরটেক বাসস্ট্যান্ডের পূর্বপাশে তার ‘ভান্ডারী টেলিকম ’ মোবাইল সার্ভেসিংয়ের দোকানে নিজেকে শ্রীনগর থানার এস.আই মিজান পরিচয় দিয়া দোকানের ডেস্কের ভিতর ক্যাশবাক্সের সামনে বসে উল্টাপাল্টা কথা বলে টাকা দাবী করে। আমি দিতে না চাইলে তৎক্ষনাত সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে শ্রীনগর থানায় ধরে নিয়ে আসার জন্য হাত টেনে অটোরিক্সায় উঠানোর চেষ্টা করে।
এসময় আশ-পাশের দোকানদারসহ অন্যান্য লোকজন ছুটে এসে শ্রীনগর থানায় ফোন করলে জানতে পারি এস.আই মিজান নামে শ্রীনগর থানায় কোন অফিসার নেই। পরে শ্রীনগর থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে সে সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা গ্রামের মৃত বশির উদ্দিনের ছেলে আমিনুল ইসলাম সুমন (৩৮)। এ ঘটনায় শ্রীনগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হেদায়েতুল ইসলাম ভূঞা জানান, পরিচয় গোপন করে সরকারী কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়ায় সুমন নামক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তাকে মুন্সীগঞ্জ জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
জনকন্ঠ
Leave a Reply