ঠক ঠক শব্দ শুরু হয়ে যায় ভোর থেকেই। প্রথমে কাঠ কেটে সাইজ করা, এরপর করাত চালানো ও রান্দায় কাঠের জৌলুস বের করে আনা। কাঠের সঙ্গে কাঠ মিলিয়ে দিয়েই হাতুড়ি পিটিয়ে তারকাটা দিয়ে আটকে ফেলা, দুই পাশের বেড় দিয়ে মাঝে কাঠের গুঁড়া দিয়েই নৌকার আকৃতি। দুই মাথায় সেট করা হয় গলোই। উল্টিয়ে এরপর তলা বা ছানি লাগিয়ে দিলেই নৌকা। এরপর চলে পাটাতনসহ ফিনিশিংয়ের কাজ। এর আগে স’মিলে গাছের গুঁড়ি থেকে কাঠ করে কারখানায় নিয়ে আসা হয়। সবই নৌকার কর্মযজ্ঞ।
মুন্সীগঞ্জ নিম্নাঞ্চল হওয়ায় বর্ষায় অধিকাংশ এলাকা পানির নিচে চলে যায়। তাই শত শত গ্রামে নৌকাই একমাত্র বাহন। তাই জেলার মধ্যবর্তী ইছাপুরায় নৌকা তৈরির মৌসুমী শিল্প গড়ে উঠেছে। এলাকাটিই এখন যেন নৌকার হাট।
এক নৌকা বিক্রেতা বলেন, এই নৌকাগুলো গৃহস্থের পাশাপাশি শ্রীনগরের পাইকাররা এখান থেকে কিনে নিয়ে খুচরা বিক্রি করে।
নৌকা তৈরির কারিগর বলেন, আমরা দুই ভাই এখানে নৌকা তৈরি করি। প্রতিদিন দুটি নৌকা তৈরি করতে পারি।
তিন মাস ধরে নৌকা নিয়ে কাঠমিস্ত্রিদের এমন কর্মযজ্ঞ চলে। এই সময় ঘরবাড়ির কাজে কাঠ শিল্পীদের পাওয়া কঠিন।
সিরাজদিখান ইছাপুরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন হাওলাদার বলেন, এটা ঐহিত্যে পরিণত হয়েছে। নৌকা তৈরি এই কারিগরদের প্রধান আয়ের উৎস। এই তিন মাসে একজন মিস্ত্রি অন্তত ৩ লাখ টাকা আয় করবেন। এটাই মূলত তাদের সারা বছরের প্রধান আয়।
সময় টিভি
Leave a Reply