শ্রীনগরে কাজীর বিরুদ্ধে বাল্যবিবাহ সম্পন্ন করার অভিযোগ

শ্রীনগর উপজেলার আল-আমিন বাজার সংলগ্ন কাজী অফিসের কাজী মাওলানা মো. ইসহাক ফরদীর বিরুদ্ধে ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ের কাবিন করার অভিযোগ উঠেছে।

গত রোববার বেলা ১১ টার দিকে কাজী অফিসে ৩ লাখ টাকা দেনমোহরের মাধ্যমে এই বাল্যবিবাহের কাজ সম্পন্ন করা হয়।

জানা গেছে, উপজেলার বাঘড়া এলাকার মুসল্লিকান্দার এলেম চোকদারের ৭ম শ্রেণির পড়ুয়া কন্যা সানজিদা (১৫) ও একই এলাকার সেকান্দার আলীর পুত্র রাজমিস্ত্রী আলীমের (২০) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সূত্রে গত ২ দিন পূর্বে সানজিদা পালিয়ে প্রেমিক আলীমের বাড়িতে চলে যায়। আলীমের পরিবার আল-আমিন বাজারে কাজী অফিসে গিয়ে তাদের বিয়ে সম্পন্ন করে।

এ বিষয়ে সাজিদার মাতা রওশনা বেগম বলেন, কয়েকজনের কথায় আমি বাধ্য হয়েই কাজী অফিসে যাই। এ সময় মেয়ের এমন কর্মকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পিতা এলেম চোকদার।

তিনি বলেন, আমি বাড়িতেই ছিলাম। আলীমের পিতা সেকান্দার আলী কাজী অফিসে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার সত্যতা শিকার করে বলেন, কাবিনে ৩ লাখ টাকা দেনমোহর করা হয়েছে। বিকালে (রোববার) কাজী ইসহাক কাবিনের রশিদ আনতে তার অফিসে যেতে বলেছেন।

বাল্য বিবাহের বিষয়ে কাজী অফিসে গিয়ে কাজী মাওলানা মো. ইসহাক ফরিদীকে পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইল ফোনে ওই কাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি দম্ভ করে বলেন, তার অফিসে আজ কোন বিয়ের কাবিন হয়নি। এ বিষয়ে তিনি কিছুই জাননে না।

এ ব্যাপারে শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণব কুমার ঘোষ জানান, কোন মতেই বাল্যবিবাহের সুযোগ নেই। কাজী এমনটা করে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.