নাসির উদ্দিন উজ্জ্বল: পদ্মা সেতুর ভাটিতে বাম তীর রক্ষায় সরকার ৪৪৬ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এতে মুন্সীগঞ্জে দীর্ঘদিন ধরে পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনের স্থায়ী সমাধান হবে। এতে খুশি পদ্মাপাড়ের মানুষ। তবে প্রকল্পটি মানসম্মতভাবে বাস্তবায়নের দাবি তাদের।
ঠিকানা হারানোর আতঙ্কে থাকা মানুষ আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। পায়ের তলার মাটি রক্ষায় তাই নানা চেষ্টা। অন্তত চলমান বর্ষা যদি কাটানো যায়। আগামী শুষ্ক মৌসুমেই শুরু হবে স্থায়ী বাঁধ তৈরির কাজ।
এরই মধ্যে পাকা স্থাপনাসহ নানা প্রতিষ্ঠান বাড়িঘর গত কয়েক সপ্তাহে গিলেছে প্রমত্ত পদ্মা। এখন হুমকির মুখে পড়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দিরসহ সরকারি বেসরকারিসহ বহু প্রতিষ্ঠান।
১৯৯২ সাল থেকে পদ্মার অব্যাহত ভাঙনে লৌহজং উপজেলা সদরসহ ৪০ গ্রাম এবং টঙ্গীবাড়ি উপজেলার ১০ গ্রাম বিলীন হয়ে গেছে এরই মধ্যে।
এখন ভাঙনের মুখে রয়েছে ১৪ গ্রাম। ভাঙনরোধে প্রকল্প অনুমোদনে খুশি গ্রামবাসী।
ভাঙনকবলিত গ্রামবাসীরা জানান, সরকার যদি আমাদের সাহায্য করে তাহলে আমরা থাকতে পারব। সরকার যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে তার জন্য আমরা অনেক খুশি। তবে সেটি মানসম্মতভাবে করার আহ্বান জানাই।
ভাঙনরোধে স্থায়ী প্রকল্পটি একনেক পাস হওয়ায় এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হলো। আগামী শুষ্ক মৌসুমে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বলেন, পদ্মার ভয়াবহ ভাঙন থেকে রক্ষায় স্থায়ী বাধ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী এক বৃহৎ প্রকল্প হাতে নিয়েছেন এবং এ প্রকল্পের মাধ্যমে স্থায়ী কাজ হবে। রক্ষা পাবে নদীতীরবর্তী মানুষ।
মুন্সীগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং টঙ্গিবাড়ি উপজেলার ১৫টি গ্রামসহ বহু সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা রক্ষা পাবে।
এদিকে চলমান ভাঙন ঠেকাতে অস্থায়ীভাবে আপদকালীন ১০৫০ মিটার এলাকায় বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।
সময় টিভি
Leave a Reply