মুন্সীগঞ্জে হবে জয়িতা ও শিশু একাডেমি ভবন

মুন্সীগঞ্জ জেলায় নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য বিক্রি ও প্রদর্শনের জন্য ছয় তলা বিশিষ্ট জয়িতা ভবন এবং শিশুদের মানসিক বিকাশে শিশু একাডেমি কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান তিনি। ১১ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জ হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রাঙ্গণে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার সুফল জনগণের ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ও ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহসহ সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের আগেই জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘১১ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জবাসীর জন্য অত্যন্ত গৌরবের দিন। আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা এই দিন মুন্সীগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করেছিল। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে এ আয়োজন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস, সম্মানি ভাতা, চিকিৎসা সুবিধা এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ে মুক্তি যোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছে।’

এর আগে সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশ নেন।

মুন্সীগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল আহসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন—পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ লুতফর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনিছ উজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসিব সরকার, পৌর মেয়র মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব ও প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর নাসির উদ্দীন উজ্জ্বল প্রমুখ।

১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর ভোর থেকে মুক্তিযোদ্ধারা মুন্সীগঞ্জ শহরের বিভিন্ন দিক থেকে হানাদার বাহিনীর সবচেয়ে বড় ক্যাম্প হরগঙ্গা কলেজ ছাত্রাবাসের দিকে এগোতে থাকেন। দুপুরের আগেই ক্যাম্পের সব দিক ঘিরে ফেলেন মুক্তিযোদ্ধারা। পরে হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। সেদিনই মুন্সীগঞ্জের আকাশে ওড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা।

রাইজিংবিডি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.